বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের ইতিহাস সংরক্ষণ এবং নিহতদের পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদফতর গঠন করেছে। সোমবার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি গেজেট প্রকাশ করা হয়, যা দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। গেজেটে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১২ ডিসেম্বর উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এই অধিদফতর গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজমের সভাপতিত্বে ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদফতর প্রতিষ্ঠার নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এরপর উপদেষ্টা পরিষদ এ বিষয়ে অনুমোদন দেয়। নতুন অধিদফতরটির জন্য ৩৩টি নতুন পদ সৃষ্টির প্রস্তাবও অনুমোদন করেছে প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটি। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে সরকার নিহতদের পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসনের পাশাপাশি গণ-অভ্যুত্থানের আদর্শকে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য একটি কার্যকর কাঠামো তৈরি করতে চায়। জুলাই গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়, যেখানে ছাত্র-জনতা বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেছিল। এই অধিদফতরের মাধ্যমে সরকার আশা করছে, ইতিহাসের এই অধ্যায়টি সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হবে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি উদাহরণ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। এটি শুধু ইতিহাস সংরক্ষণ নয়, বরং একটি সামাজিক ও রাজনৈতিক আন্দোলনের পুনর্বাসন এবং তার আদর্শকে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করার একটি উদ্যোগ। সরকারের এই পদক্ষেপ দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে মনে করা হচ্ছে।