ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি সম্প্রতি একটি সাহসী সামরিক অভিযানের দাবি করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, গাজার জনগণের উপর ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিশোধ নিতে তাদের যোদ্ধারা অধিকৃত হাইফা এলাকার পূর্বে অবস্থিত ইসরায়েলের রামাত ডেভিড বিমানঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে। এই হামলায় ব্যবহৃত হয়েছে ‘ফিলিস্তিন-২’ হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। সারি আরও দাবি করেছেন, ক্ষেপণাস্ত্রটি সফলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে এবং ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এটিকে প্রতিহত করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই হামলার বিষয়ে একটি বিবৃতিতে ইয়াহিয়া সারি উল্লেখ করেছেন যে, এটি নিপীড়িত ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সংহতি জানিয়ে পরিচালিত হয়েছে। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, গাজার ওপর আরোপিত অবরোধ প্রত্যাহার না হওয়া এবং ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তাদের প্রতিশোধমূলক অভিযান অব্যাহত থাকবে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এ বিষয়ে জানিয়েছে যে, ইয়েমেন থেকে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ঘটনা তারা শনাক্ত করেছে। তবে ক্ষেপণাস্ত্রটি আটকাতে সক্ষম হয়েছে কিনা সে বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। এদিকে, হামলার সময় হাইফা শহরসহ ইসরায়েলের উত্তর অংশে সাইরেন বেজে ওঠে, যার ফলে এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাইরেনের শব্দে আশ্রয়কেন্দ্রে দৌড়ানোর সময় একজন ইসরায়েলি নাগরিক আহত হয়েছেন। এছাড়াও, গাদিশ বসতির কাছে ক্ষেপণাস্ত্রের টুকরো পড়ার খবর পাওয়া গেছে। ইসরায়েলি দৈনিক ইয়েদিওথ আহরোনোথের বরাতে জানা গেছে, হামলার প্রেক্ষিতে বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বেশ কয়েকটি ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়াও, হুথিদের এই হামলার ফলে ইসরায়েলে নতুন করে নিরাপত্তা পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছে। হুথিদের এই সামরিক অভিযান মধ্যপ্রাচ্যের চলমান সংঘাতকে আরও ঘনীভূত করছে। এটি আন্তর্জাতিক মহলে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশেষত, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এই হামলা।