ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে সীমান্ত লাগোয়া ভারতের অভ্যন্তরে হতাহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৮ জনে। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কমপক্ষে ১৫ জন নিহত এবং ৪৩ জন আহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনী জানায়, মঙ্গলবার দিবাগত রাত থেকে পাকিস্তানের ছোড়া কামানের গোলার আঘাতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। ভারতীয় সেনাবাহিনী অভিযোগ করেছে যে, পাকিস্তান ভারত-অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চ ও তাংধরের বেসামরিক এলাকায় গোলাবর্ষণ করেছে, যা এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য একটি গুরুতর হুমকি। এদিকে, পেহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ নিতে ভারত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এই হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে, যাদের সবাই বেসামরিক নাগরিক বলে দাবি করেছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে আরও দাবি করা হয়েছে যে, হামলায় অংশ নেওয়া পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করা হয়েছে। এই পরিস্থিতি দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি করেছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সংঘাতের ফলে দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে। উভয় দেশের মধ্যে সংলাপ ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের প্রয়োজনীয়তা এখন আগের চেয়ে বেশি অনুভূত হচ্ছে। এখন দেখার বিষয় হলো, এই পরিস্থিতি কিভাবে সামাল দেওয়া হয় এবং উভয় পক্ষের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়।