সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার দেশের পুঁজিবাজারে বড় ধরনের দরপতন দেখা গেছে। প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) উভয় বাজারেই সূচক ও লেনদেনের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স এদিন ১৪৯ পয়েন্ট কমে ৪,৮০২ পয়েন্টে নেমে এসেছে। অন্যান্য সূচকের মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৪১ পয়েন্ট কমে ১,০৪৭ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৪০ পয়েন্ট কমে ১,৭৯৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। লেনদেনের পরিমাণেও পতন ঘটেছে। ডিএসইতে এদিন ৫১৬ কোটি ৪৬ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের তুলনায় ৩৩ কোটি টাকা কম। আগের দিন এই লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৫৪৯ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। ডিএসইতে মোট ৩৯৯টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, ২৮৫টির দাম কমেছে এবং ৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) একই ধরনের পতন লক্ষ্য করা গেছে। সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৭০ পয়েন্ট কমে ১৩,৫৯০ পয়েন্টে নেমে এসেছে। সিএসইতে এদিন ২১৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যার মধ্যে ২০টির দাম বেড়েছে, ১৮৭টির দাম কমেছে এবং ১০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেনের দিক থেকেও সিএসইতে পতন ঘটেছে। এদিন সিএসইতে ৬ কোটি ৫২ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের তুলনায় পাঁচ কোটি টাকা কম। আগের দিন এই লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১১ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, বিনিয়োগকারীদের আস্থা সংকট এবং বাজারে ক্রমাগত বিক্রির চাপ এই দরপতনের প্রধান কারণ হতে পারে।