পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের নেতৃত্বে বুধবার জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির (এনএসসি) এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে পাঞ্জাব এবং আজাদ কাশ্মীর জুড়ে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র, বিমান এবং ড্রোন হামলার তীব্র নিন্দা জানানো হয়। এনএসসি এই হামলাগুলোকে পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের স্পষ্ট লঙ্ঘন হিসেবে অভিহিত করেছে। বৈঠকে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জাতিসংঘ সনদের ৫১ অনুচ্ছেদের অধীনে প্রতিক্রিয়া জানানোর অধিকার সংরক্ষণের কথা পুনর্ব্যক্ত করা হয়। একই সঙ্গে সশস্ত্র বাহিনীকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অনুমতি প্রদান করা হয় । বৈঠকে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রশংসা করা হয়, যারা দেশের ভূখণ্ড রক্ষার সময় পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান এবং ড্রোন ভূপাতিত করেছে। এনএসসি জানিয়েছে, ভারতের হামলাগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে মসজিদ এবং বাড়িঘরসহ বেসামরিক এলাকাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করেছে, যা আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এতে নিরীহ পুরুষ, নারী এবং শিশুদের প্রাণহানি ঘটেছে। এই ঘটনাগুলো আঞ্চলিক উত্তেজনা বাড়ানোর জন্য ভারতের দায়বদ্ধতাকে স্পষ্ট করে তোলে । পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, যেন তারা ভারতের এই আগ্রাসনের জন্য তাকে জবাবদিহি করতে বাধ্য করে। একই সঙ্গে পাকিস্তান তার জনগণের সুরক্ষা এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে। এনএসসি জোর দিয়ে বলেছে, পাকিস্তান কখনোই তার জনগণের ক্ষতি বা তার সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন মেনে নেবে না। শান্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকলেও পাকিস্তান তার মর্যাদা এবং নিরাপত্তা রক্ষায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ।