প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আমন্ত্রণে দেশটিতে সফর করতে পারেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, “প্রেসিডেন্ট শি আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। অদূর ভবিষ্যতে এটি বাস্তবায়ন হবে। দিনটি খুব দূরে নয়।” বিশ্ব রাজনীতিতে দুই পরাশক্তি চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য ও নিরাপত্তা ইস্যুতে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে এই সফরের সম্ভাবনা আলোচনায় এসেছে। রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, চলতি বছরের শেষ দিকে ট্রাম্পের একটি এশিয়া সফরের পরিকল্পনা রয়েছে, যেখানে শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি উভয় পক্ষ আলোচনা করেছে। যদিও সফরের দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি, তবে সম্ভাব্য দুটি সময় সামনে এসেছে। প্রথমটি, আগামী ৩০ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠেয় এশিয়া–প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন সম্মেলনের সময় চীন সফর করতে পারেন ট্রাম্প। দ্বিতীয় সম্ভাব্য তারিখ ৩ সেপ্টেম্বর, যখন বেইজিংয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির ৮০ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনেরও যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। চীন নিয়ে কথা বলার সময় ট্রাম্প বলেন, “আমরা ভালোভাবে চীনকে সঙ্গে নিয়ে চলছি।” ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্ডিনান্ড মার্কোস জুনিয়রের সঙ্গে বৈঠকের সময় তিনি ফিলিপাইন প্রসঙ্গে বলেন, “দেশটি এক সময় চীনের দিকে ঝুঁকেছিল, তবে এখন তারা যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ অবস্থানে ফিরেছে।” এই সফরের সম্ভাবনা আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে এবং চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।