ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রাহ্মনিয়াম জয়শঙ্কর মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) পাকিস্তান সফরে গেছেন। সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) সম্মেলনে অংশ নিতে এ সফর করছেন তিনি, যা দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ। প্রায় এক দশক পর এটি প্রথমবার, যখন কোনো ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাকিস্তানের মাটিতে পা রাখলেন। সর্বশেষ ২০১৫ সালে তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ পাকিস্তান সফর করেছিলেন।সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) হলো বিশ্বের বৃহত্তম আঞ্চলিক আন্তঃরাষ্ট্রীয় সংস্থা। এর সদস্য রাষ্ট্রগুলো হলো রাশিয়া, চীন, ভারত, পাকিস্তান, ইরান, কাজাখস্তান, উজবেকিস্তান, কিরগিজস্তান এবং তাজিকিস্তান। এসসিও সম্মেলন মঙ্গলবার ইসলামাবাদে শুরু হয়ে বুধবার (১৬ অক্টোবর) শেষ হবে।
এ সফরের সময় জয়শঙ্করের পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে আগেই জানানো হয়েছিল। মূলত, তিনি এসসিও সম্মেলনে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। তবে সফরের পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের আয়োজিত নৈশভোজে জয়শঙ্করের অংশগ্রহণেরও কথা রয়েছে, যা এড়ানো তার পক্ষে সম্ভব নয়।
ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবে বৈরী হলেও তা আরও তিক্ত হয়ে ওঠে ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার পর। সেই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ভারত পাকিস্তানের বালাকোটে বিমান হামলা চালায় এবং পরে জম্মু-কাশ্মিরের সাংবিধানিক মর্যাদা বাতিল করে, যা পাকিস্তানের প্রবল বিরোধিতার মুখোমুখি হয়।
জয়শঙ্করের এই সফর মোদি সরকারের কূটনৈতিক নীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত। নয়াদিল্লি চাইছে, দ্বিপাক্ষিক সংঘাতের ঊর্ধ্বে উঠে তারা বহুপাক্ষিক কূটনীতিতে মনোযোগ দিক এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে কোনো ছাড় না দিয়ে সম্পর্কের উন্নতি করুক।
পাকিস্তানের সরকার এসসিও সম্মেলন উপলক্ষে রাজধানী ইসলামাবাদে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে লকডাউন জারি করেছে এবং রাওয়ালপিন্ডি ও আশেপাশের জেলায় সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে।
সূত্র: রয়টার্স, দ্য হিন্দু