প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. ইউনুস স্যারের অনুরোধে জুলাইয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শনের দায়ে কারাদণ্ড দেওয়া ৫৭ বাংলাদেশিকে ক্ষমা করেছে আরব আমিরাত সরকার। যা বর্তমান সরকারের এক বিরাট কূটনৈতিক অর্জন বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবির মিলন।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) তার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন।
সাবেক এ সচিব বলেন, প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. ইউনুস স্যারের অনুরোধে জুলাইয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শনের দায়ে কারাদণ্ড দেওয়া ৫৭ বাংলাদেশিকে ক্ষমা করেছে আরব আমিরাত সরকার। যা বর্তমান সরকারের এক বিরাট কূটনৈতিক অর্জন।তিনি বলেন, এটা চিন্তাও করা যায় না যে, তিনজনের যাবজ্জীবন এবং বাকিদের ১০ বছরের কারাদণ্ড ইউনুস স্যারের টেলিফোনে সাজা ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আশা করি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ হয়ে থাকা আরব আমিরাতের সাধারণ শ্রমিক ভিসা সমস্যারও অতি দ্রুত সমাধান তার মাধ্যমেই হবে ইনশাআল্লাহ।
এর আগে সম্পাদক পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের (দুবাই) ফেডারেল আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ৫৭ বাংলাদেশিকে ক্ষমা করে দিয়েছেন বলে জানান প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। তিনি জানান, দেশটির প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান ৫৭ বাংলাদেশিকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। শিগগিরই তাদের বাংলাদেশে পাঠানো হবে।
তার আগে দুবাইয়ে বিক্ষোভ করার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ৫৭ বাংলাদেশিকে দীর্ঘ মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছিলেন দেশটির আদালত।
বাংলাদেশের কোটা আন্দোলনের সমর্থনে আমিরাতের বেশ কয়েকটি রাস্তায় বিক্ষোভ করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। ওই সময় তারা বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শ্লোগান দেন।
উল্লেখ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাতে যে কোনো ধরনের বিক্ষোভ অবৈধ। সেখানে যে কোনো ধরনের বিক্ষোভ মিছিলের বিরুদ্ধে সবসময় কঠোর অবস্থানে থাকে দেশটি। বাংলাদেশি বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে ‘দাঙ্গায় উসকানি ও জড়ো হওয়ার’ অপরাধে মামলা করা হয়েছিলো।
অভিযুক্তদের অন্তত তিনজনকে যাবজ্জীবন, ৫৩ জনকে ১০ বছর ও একজনকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আমিরাতের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ডব্লিউএএম জানায়, কারাদণ্ড ভোগের পর তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন করা হবে।