আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শোবিজে আওয়ামীপন্থি তারকাদের অনেকে আত্মগোপনে চলে যান। চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার দেশে নাকি লন্ডনে সেটি নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। আগেই গুঞ্জন উঠেছিল লন্ডনে পাড়ি জমিয়েছেন তিনি। তবে বুধবার (২৩ অক্টোবর) গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয় দেশেই রয়েছেন নিপুণ।
জানা যায়, দেশেই আত্মগোপনে আছেন নিপুণ। গ্রেপ্তার হওয়ার ভয়ে দেশ ছাড়তে পারেননি নিপুণ। এই নায়িকা প্রতিনিয়ত বিদেশের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে বোঝাতে চাইছেন, দেশের বাইরে আছেন তিনি।
নিপুণের এক ঘনিষ্ঠ সূত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, নিপুণ দেশেই আছেন। তবে বাসা থেকে বের হচ্ছেন না তিনি। বিভিন্ন আওয়ামী নেতার সঙ্গে এখনো তার যোগাযোগ রয়েছে। তবে মামলার ভয়ে নিজেকে আড়াল করে রেখেছেন নিপুণ। আরও জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিনিয়ত নিজস্ব লোক দিয়ে মিথ্যাচার করাচ্ছেন তিনি।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে আলোচিত হন এই অভিনেত্রী। বিশেষ করে সমিতির নির্বাচনে পরাজিত হয়ে মামলা করে চেয়ারে বসে হন বিতর্কিত। এফডিসিকেন্দ্রিক একটি শক্তির প্রকাশ করেন নিপুণ। এ সময় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার সহযোগিতা নেন তিনি। আওয়ামী সরকারের পতনের পর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতে থাকে।
এদিকে বুধবার রাতে নিপুণের ঘনিষ্ঠ এমন একটি সূত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, নিপুণ অনেক আগেই লন্ডনে চলে গিয়েছেন। গত ৮ আগস্ট সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে লন্ডনের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছেন তিনি। সূত্রের খবর লন্ডনে পার্লার খুলেছেন নিপুণ। বিষয়টি নিয়ে ওই ব্যক্তিকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেছেন, পার্লার নিপুণের না তার বোন সংগীতশিল্পী পলিনের। সেখানে তাদের অন্যান্য ব্যবসাও রয়েছে।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর দলটির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ শিল্পীরা তোপের মুখে পড়েন। ছাত্র-জনতার পক্ষে না থাকার কারণে তাদের অনেকের বিপক্ষে জনরোষ তৈরি হয়।