এতে পর্যটন শিল্প ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং উদ্যোক্তারা সর্বশান্ত হবেন বলে মনে করছে টোয়াব।
সেন্ট মার্টিনে ভ্রমণ সীমিত করলে রাজপথে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে পর্যটন ব্যবসায়ীদের সংগঠন ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)।
সংগঠনটি সম্প্রতি সরকারের নেওয়া এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।
রোববার রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে সংগঠনের অবস্থান তুলে ধরেন টোয়াব সভাপতি মো. রাফেউজ্জামান। পরে এ বিষয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সেন্ট মার্টিন দ্বীপ পরিবেশ ও পর্যটন রক্ষা-উন্নয়ন জোট এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
রাফেউজ্জামান বলেন, “আমাদের প্রবল আপত্তি সত্ত্বেও সেন্ট মার্টিনে রাত্রি যাপন ও পর্যটক যাতায়াত সীমিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে পর্যটন শিল্প ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং সাধারণ উদ্যোক্তারা সর্বশান্ত হয়ে যাবে।”
সম্প্রতি সরকার দেশের একমাত্র এ প্রবাল দ্বীপে পর্যটকদের যাওয়া আসা ও রাতে থাকার ক্ষেত্রে মাসওয়ারী সময় ঠিক করে দিয়েছে। সে অনুযায়ী, নভেম্বরে কোনো পর্যটক সেখানে রাত্রিযাপন করতে পারবে না। ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে দিনে ২০০০ পর্যটক ভ্রমণ করতে পারবেন এবং রাতে থাকতে পারবেন। আর ফেব্রুয়ারিতে পর্যটক যাওয়া বন্ধ থাকবে।
টোয়াব সভাপতি এমন বিধিনিষেধ আরোপের প্রতিবাদ করে বলেন, “সেন্ট মার্টিনে প্রায় ১০ হাজার মানুষ বাস করে। এরা সবাই পর্যটনের উপর নির্ভরশীল। সেখানে পর্যটন সীমিত করা হলে অথবা বন্ধ করা হলে এরা সবাই বেকার হয়ে যাবে। সেই সাথে উদ্যোক্তাদের আর্থিক বিনিয়োগ মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়বে।”
এজন্য অনতিবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি তুলে তিনি বলেন, “আমরা সেন্ট মার্টিনের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র রক্ষা করতে চাই। তবে পর্যটন বন্ধ করে দিয়ে নয়। বরং পরিবেশের অনুকূলে সকল প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে।”
সংবাদ সম্মেলনে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ পরিবেশ ও পর্যটন রক্ষা-উন্নয়ন জোটের চেয়্যারম্যান শিবলুল আজম কোরেশি বলেন, “সেন্ট মার্টিন দ্বীপে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার কঠোরভাবে বন্ধ করে রাত্রিযাপনসহ যাবতীয় বিধিনিষেধ ব্যাতিরেকে পর্যটন চালু রাখা এবং টেকনাফ থেকে সেন্ট মার্টিন ভ্রমণে বিকল্প পথ তৈরি করতে হবে।”
তিনি দ্বীপে লোনা পানিকে মিঠা পানিতে রূপান্তরের জন্য পানি পরিশোধনাগার স্থাপন এবং পচনশীল বর্জ্য ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে বায়োগ্যাসে পরিণত করার ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
দ্বীপে জেনারেটর ব্যবহার বন্ধ করে পরিবেশবান্ধব সৌর বিদ্যুৎ বন্ধ এবং ইট-সিমেন্টের স্থায়ী স্থাপনা নিয়ন্ত্রণের তাগিদ দেন।
সংবাদ সম্মেলনে এইচআর গ্রুপের চেয়ারম্যান ও জোটের প্রচার সম্পাদক হাবিবুর রহমান ও ই-ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ট্যাব) সভাপতি ইমরানুল আলম উপস্থিত ছিলেন।