গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে বিশেষ একটি দিন হিসেবে বিবেচিত হয়েছে, যখন ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। দায়িত্ব গ্রহণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সদস্যপদ প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। এই নির্দেশনার ফলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের কাছে উদ্বেগের সঞ্চার হয়েছে, বিশেষত যখন বিশ্বে স্বাস্থ্য সংকট ও মহামারির মোকাবيلায় সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
### সিডিসির নির্দেশনা: ডব্লিউএইচওর সঙ্গে অবিলম্বে কাজ বন্ধ করার আদেশ
সংযুক্ত রাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) কর্মকর্তাদের কাছে একটি নথি বিতরণ করা হয়েছে, যাতে ডব্লিউএইচওর সঙ্গে সহযোগিতা অবিলম্বে বন্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সিডিসির কর্মকর্তা জন নেঙ্গাসংয়ের এই নির্দেশনা, যেটি যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য কার্যক্রমে একটি বড় পরিবর্তন নির্দেশ করছে, অনেক ক্ষেত্রেই বিস্ময়কর বলে মনে হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, এই ধরনের হঠাৎ সিদ্ধান্তের ফলে আফ্রিকায় এমপক্স এবং মারবার্গ ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে বাধাপ্রাপ্ত হবে। এর পাশাপাশি, যুক্তরাষ্ট্রে বার্ড ফ্লু সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বাধা সৃষ্টি হতে পারে।
### নির্দেশনায় বিস্তারিত
নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সিডিসির সম্ভাব্য সব কর্মীকে ডব্লিউএইচওর সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ, سواء সরাসরি অথবা ভার্চুয়াল, বন্ধ করতে বলা হয়েছে। তাদেরকে ডব্লিউএইচওর কার্যক্রমে অংশগ্রহণ ও কার্যালয়ে পরিদর্শন থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
### বিশেষজ্ঞদের চিন্তা
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ জেফ্রে ক্লজনার বলেন, “ডব্লিউএইচওর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করা একটি গুরুতর সমস্যা। অনেকেই ধারণা করছিলেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াটি ধীরে ধীরে হবে। কিন্তু এটি যে এত দ্রুত ঘটবে, তা কেউ আশা করেনি।” তিনি উল্লেখ করেন যে, এই ধরনের সহযোগিতা যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্যকে সুরক্ষিত রাখতে অত্যন্ত সহায়ক ছিল।
### সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি
এখনও পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য ও মানবসেবা বিষয়ক দপ্তরের কর্মকর্তারা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে জানা গেছে, এই ধরনের সিদ্ধান্তগুলি মহামারির সময়ে জনগণের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলে ধরেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি যুক্তরাষ্ট্রের ডব্লিউএইচও থেকে বেরিয়ে যাওয়া প্রক্রিয়া সফল হয়, তাহলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় দুর্বলতা এবং বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্য সংকট মোকাবিলায় যে উদ্যোগগুলো দরকার, সেগুলোতে বহুবিধ বাধা সৃষ্টি হবে।
এখন অপেক্ষা করা হচ্ছে, কংগ্রেসের অনুমোদনের সাথে সাথে ডব্লিউএইচও থেকে বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া কিভাবে এগিয়ে যাবে এবং অতিরিক্ত ফলাফল কি হবে। বর্তমান পরিস্থিতি, জনস্বাস্থ্য এবং বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সহযোগিতায় নতুন সমস্যা নিয়ে আসতে পারে, যা পুরো বিশ্বের জন্য একটি নতুন চ্যালেঞ্জ হতে পারে।