এক রোহিত শর্মার ব্যাটে যেন উড়ে গেল ইংল্যান্ড। দীর্ঘদিন পর, যেন ফিরে এলেন তিনি। ২০২৩ সালের অক্টোবরে দিল্লিতে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের ম্যাচে ৬৩ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন—সেটাই ছিল তার শেষ সেঞ্চুরি। এরপর থেকে ওয়ানডে ফরম্যাটে রোহিতের ব্যাটে সেঞ্চুরির দেখা মিলছিল না। কিন্তু সেই সেঞ্চুরির সুবাদে, ইংল্যান্ডের দেওয়া ৩০৫ রানের টার্গেট ভারত পেরিয়েছে ৩৩ বল হাতে রেখে। ওয়ানডে ক্রিকেটে ৩০০ ছাড়ানো স্কোর এখন আর নিরাপদ নয়, অন্তত গৌতম গম্ভীরের শিষ্যদের কাছে। মারকুটে ভারত কটকে অন্তত সেই বার্তাই দিয়েছে।
এই হারের মাধ্যমে ইংল্যান্ডের আক্ষেপের পাল্লা ৪৩ বছরে গিয়ে ঠেকল। ভারতকে তাদের মাটিতে শেষবার ওয়ানডে সিরিজে হারিয়েছিল ইংলিশরা ১৯৮২ সালে। তারপর থেকে, বহু দলকে হারিয়েছে তারা, কিন্তু ম্যান ইন ব্লুদের হারাতে পারেনি। গতকালের ম্যাচটি চলতি সিরিজে ইংল্যান্ডের পরাজয় নিশ্চিত করেছে। সেইসঙ্গে, বাংলাদেশকেও কিছুটা অন্তত লজ্জা থেকে মুক্তি দিয়েছে।
এদিকে, ইংল্যান্ডের ফর্ম ওয়ানডে ফরম্যাটে ভালো নেই। একের পর এক ম্যাচে তারা হেরেছে। ২০২৩ বিশ্বকাপ পরবর্তী সময়ে, ওয়ানডে ফরম্যাটে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ হারের তালিকায় বাংলাদেশের সঙ্গে সবার ওপরে উঠে এসেছে জস বাটলারের দল। বিশ্বকাপ পরবর্তী ২২ ম্যাচের মধ্যে ইংল্যান্ড হেরেছে ১৫ ম্যাচে। বাংলাদেশ অবশ্য ২১ ম্যাচে ১৫ হারের স্বাদ পেয়েছে।
২০২৩ বিশ্বকাপের পর সবচেয়ে বেশি হার (ওয়ানডে ফরম্যাট):
এছাড়া, ইংল্যান্ড নাম লিখিয়েছে আরেক অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ডের বইয়ে। ওয়ানডে ম্যাচে দলীয় সংগ্রহ ৩০০ করার পরেও সবচেয়ে বেশি ম্যাচ হেরেছে তারা। গতকালের প্রতিপক্ষ ভারতের আগের রেকর্ডকে টপকে গেছে।
ওয়ানডে ম্যাচে ৯৯ বার ৩০০ এর বেশি স্কোর গড়ে ইংল্যান্ড হেরেছে ২৮ ম্যাচে। অন্যদিকে, ভারত ১৩৬ ম্যাচে ৩০০ এর বেশি স্কোর গড়ে হেরেছে ২৭টি ম্যাচে। তালিকায় এরপরেই আছে ৬২ বার ৩০০+ স্কোর গড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং ৮৭ বার ৩০০ পেরুনো শ্রীলঙ্কা।
ওয়ানডেতে ৩০০+ স্কোরের পর সবচেয়ে বেশি হার:
এভাবে, রোহিত শর্মার নেতৃত্বে ভারত যেন নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা করল, যেখানে ইংল্যান্ডের পতন এবং নতুন রেকর্ডের জন্ম হলো। ক্রিকেটের এই নাটকীয়তায়, ভবিষ্যৎ কি অপেক্ষা করছে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।