সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রবিবার শুরু হওয়া টেস্ট ম্যাচে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ দল। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম সেশনে কিছুটা স্থিতিশীল থাকলেও দ্বিতীয় সেশনে চরম ধস নামে স্বাগতিকদের ইনিংসে। ১২৩ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর মাত্র ২৩ রানের ব্যবধানে আরও ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ পড়ে ১৪৬ রানে ৭ উইকেটের সংকটে। শেষ পর্যন্ত ৬১ ওভারে ১৯১ রানে অলআউট হয় দলটি। ভালো শুরুর পর দ্রুত পতন বাংলাদেশের দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় এবং সাদমান ইসলাম ভালো সূচনা এনে দেন। বল ব্যাটে আসছিল, এবং দুজনেই উইকেটে সেট হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তবে দলীয় ৩১ রানে সাদমান ২৩ বলে ১২ রান করে ভিক্টর নুয়াইসির বলে গালি অঞ্চলে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। পরের ওভারেই একই বোলারের বলে মাহমুদুল হাসান জয়ও ৩৫ বলে ১৪ রান করে কিপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। তৃতীয় উইকেটে মুমিনুল হক এবং অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ৬৬ রানের জুটি গড়েন। তবে শান্ত ৬৯ বলে ৪০ রান করে ব্লেসিং মুজারাবানির বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। এরপর মুশফিকুর রহিমও ব্যর্থ হন, ১৮ বলে মাত্র ৪ রান করে শর্ট মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। মুমিনুলের লড়াই এবং লোয়ার অর্ডারের ব্যর্থতা মুমিনুল হক একপ্রান্ত ধরে রাখার চেষ্টা করলেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ১০৫ বলে ৫৬ রানের ইনিংসে ৮টি চার এবং ১টি ছক্কা হাঁকিয়ে তিনি ওয়েলিংটন মাসাকাদজার বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। এরপর দ্রুতই ফিরে যান মেহেদী হাসান মিরাজ (৪ বলে ১ রান) এবং তাইজুল ইসলাম (১৯ বলে ৩ রান)। লোয়ার অর্ডার থেকে কেউই উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে না পারায় বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয় ১৯১ রানে। শেষ উইকেট হিসেবে জাকের আলী অনিক ২৮ রান করেন, আর হাসান মাহমুদ অপরাজিত থাকেন ১৯ রানে। দ্বিতীয় সেশনে বিপর্যয় দ্বিতীয় সেশনে বাংলাদেশ দল ৭০ রানের বিপরীতে হারায় ৫টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। এই ধসই মূলত দলের ব্যাটিং লাইনআপকে ভেঙে দেয়। চা-বিরতির সময় ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫৪ রান নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। তবে শেষ সেশনে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি দলটি। প্রতিপক্ষের বোলিং দাপট প্রতিপক্ষের বোলারদের মধ্যে ভিক্টর নুয়াইসি এবং ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ছিলেন সবচেয়ে সফল। তাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং এবং ধারাবাহিক আক্রমণে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ ভেঙে পড়ে। সিলেট টেস্টের প্রথম দিনেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া বাংলাদেশ দল এখন ম্যাচে ফিরে আসার জন্য বোলারদের ওপর নির্ভর করতে হবে।