“১৯৭১ সালে প্রাণের বিনিময়ে একটি স্বাধীন দেশের সূচনা হয়েছিল। আজ বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৮ কোটি, অথচ তখন ছিল এর মাত্র এক-তৃতীয়াংশ।” বিনিয়োগ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই কথাগুলো বলার পর আবেগে আপ্লুত হয়ে নীরব হয়ে যান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এক পর্যায়ে তার চোখে জল এসে যায়, এবং তিনি আবারও কথা বলতে শুরু করেন, চোখে জল নিয়ে। বুধবার (৯ এপ্রিল) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠিত বিনিয়োগ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা আবেগে কেঁদে ফেলেন। তিনি বলেন, “ক্ষুধায় মানুষ মারা গেছে। আমাদের দেশে এক ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। ১৫ লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল। তখন স্বাধীন বাংলাদেশ এমনই ছিল।” ড. ইউনূস আরও বলেন, “তখন আমরা বছরে একটিই ফসল ফলাতাম। আমাদের অন্য কোনো উপায় জানা ছিল না। দেশের মানুষ কৃষক হিসেবেই পরিচিত ছিল, কারণ তাদের আর কোনো পেশা ছিল না। আর তাদের মধ্যে তিন চতুর্থাংশের নিজের কোনো জমি ছিল না। জীবন ছিল অত্যন্ত কঠিন।” প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, “দুর্ভিক্ষের সেই ভয়াবহ সময়ে গরীব মানুষকে ক্ষুদ্র ঋণ দেওয়ার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, যাতে তারা নিজেদের ব্যবসা শুরু করতে পারে। বিশেষ করে নারীদের জন্য এই উদ্যোগ ছিল। সেটি ছিল ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচি। আমরা গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করলাম। তখন আমাদের কোনো ধারণাই ছিল না, এটি কোন পথে যাবে। কিন্তু আজ সেটি বৈশ্বিক এক নামে পরিণত হয়েছে।”