কান চলচ্চিত্র উৎসবে আলিয়া ভাটের চমকপ্রদ উপস্থিতি: গয়নার ভাঙন ও উপস্থিত বুদ্ধির প্রশংসা প্রথমবারের মতো কানের লাল গালিচায় পা রেখে বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আলিয়া ভাট তাঁর স্টাইল এবং সৌন্দর্যের সঙ্গে নিখুঁত আত্মসংযম ও উপস্থিত বুদ্ধি প্রদর্শন করেছেন। আন্তর্জাতিক প্রসাধনী সংস্থার প্রতিনিধিত্ব করে ফ্রান্সের প্রেস্টিজিয়াস কান চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নেওয়ার সময়, আলিয়া এক অপ্রত্যাশিত ঘটনার সম্মুখীন হন। উৎসবের শেষ দিনে তাঁর গলায় থাকা বহু মূল্যের হীরের চোকার আচমকাই ভেঙে যায়। ঘটনার সময় আলিয়া লাল গালিচায় আলোকচিত্রী ও ভক্তদের উদ্দেশে হাত নাড়ছিলেন, ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে হাসছিলেন এবং দর্শকদের অটোগ্রাফ দিচ্ছিলেন। হঠাৎ করেই তাঁর গলার দামি হীরের হার ভেঙে যায়। প্রথমে বিষয়টি বুঝতে না পারলেও দ্রুত তা টের পান আলিয়া। হারটি যাতে পড়ে না যায়, সেই আশঙ্কায় সঙ্গে সঙ্গে গলায় হাত দিয়ে সেটি চেপে ধরেন। আলিয়ার এই পরিস্থিতি সামলানোর কৌশল এতটাই স্বাভাবিক ছিল যে উপস্থিত অনেকেই ভেবেছিলেন এটি ক্যামেরার সামনে একটি ভঙ্গিমা মাত্র। পরে দেখা যায়, হারের একটি অংশ আলগা হয়ে গলায় ঝুলে আছে। এই ঘটনার পর নেটমাধ্যমে আলিয়ার উপস্থিত বুদ্ধির প্রশংসা শুরু হয়। অনেকেই মন্তব্য করেন, “আলিয়ার মতো ঠান্ডা মাথায় এমন পরিস্থিতি সামলানো সত্যিই প্রশংসনীয়।” তবে কিছু নেটিজেন গয়না প্রস্তুতকারক সংস্থার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, তাঁদের মতে, এমন গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে গয়নার ভাঙনকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীনতা’ বলা যায়। আলিয়া কান চলচ্চিত্র উৎসবে একটি আন্তর্জাতিক পোশাক প্রস্তুতকারী সংস্থার তৈরি বেইজ রঙের, পাথর বসানো জাল বোনা শাড়ি পরেছিলেন, যা বিশেষভাবে এই উপলক্ষে ডিজাইন করা হয়েছিল। শাড়ির সঙ্গে মানানসই হীরের গয়না তাঁর সৌন্দর্যকে আরও উজ্জ্বল করে তোলে, যদিও সেই গয়নাই তৈরি করল রেড কার্পেটে চমকপ্রদ মুহূর্ত। আলিয়া ভাটের এই অভিজ্ঞতা প্রমাণ করে যে, স্টাইল এবং উপস্থিত বুদ্ধি একসঙ্গে কাজ করলে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করা সম্ভব।