মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন নিয়ে আসা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য আরও একটি বড় ধাক্কা এসেছে। ট্রাম্প প্রশাসন বিশ্বজুড়ে মার্কিন দূতাবাসগুলিকে নতুন ছাত্র ভিসা সাক্ষাৎকারের সময়সূচী স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছে। এই সিদ্ধান্তটি এসেছে এমন এক সময়ে, যখন প্রশাসন ভিসা আবেদনকারীদের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল যাচাই-বাছাইয়ের প্রক্রিয়া আরও কঠোর করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। মঙ্গলবার প্রকাশিত একটি কূটনৈতিক তারবার্তায় জানানো হয়, “অবিলম্বে কার্যকর, প্রয়োজনীয় সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রিনিং এবং যাচাই-বাছাই সম্প্রসারণের প্রস্তুতির জন্য, কনস্যুলার বিভাগগুলি আগামী দিনে পরবর্তী নির্দেশিকা না আসা পর্যন্ত কোনও নতুন স্টুডেন্ট বা এক্সচেঞ্জ ভিজিটর ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্টের সময়সূচী যুক্ত করবে না।” এই তথ্যটি প্রথম পলিটিকো দ্বারা প্রকাশিত হয় এবং পরে টাইম ম্যাগাজিনের কাছে নিশ্চিত করা হয়। যদিও পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র সরাসরি তারবার্তাটি নিশ্চিত করেননি, তবে উল্লেখ করেছেন যে ভিসা সাক্ষাৎকারের সময়সূচী পরিবর্তনশীল এবং প্রতিটি ভিসা সিদ্ধান্ত জাতীয় নিরাপত্তার সাথে সম্পর্কিত। মুখপাত্র আরও জানান, ২০১৯ সাল থেকে ভিসা আবেদনকারীদের তাদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের তথ্য প্রদান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের জন্য কনস্যুলার বিভাগগুলি তাদের সময়সূচী ক্রমাগত সামঞ্জস্য করছে। আবেদনকারীরা তাদের আবেদন জমা দেওয়া চালিয়ে যেতে পারেন, তবে প্রতিটি মামলার পূর্ণাঙ্গ যাচাই নিশ্চিত করার জন্য পর্যাপ্ত সময় নেওয়া হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মার্কিন কর্মকর্তা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে নিশ্চিত করেছেন যে এই আদেশটি প্রশাসনের অভিবাসন নীতির কঠোর নিয়ন্ত্রণের অংশ। এটি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে, কারণ তারা ইতোমধ্যেই ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর অভিবাসন নীতির কারণে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলির জন্যও একটি বড় ধাক্কা, কারণ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা শুধুমাত্র শিক্ষাক্ষেত্রে নয়, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে প্রশাসনের এই পদক্ষেপটি জাতীয় নিরাপত্তার অজুহাতে নেওয়া হয়েছে, যা অভিবাসন নীতির উপর আরও কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপের ইঙ্গিত দেয়।