মঙ্গলবার ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ একটি বিবৃতিতে জানায় যে, ইসরায়েলকে ইরানের বিরুদ্ধে একতরফা যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে বাধ্য করা হয়েছে। তবে, ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফ ইসরায়েলে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর খবর অস্বীকার করেছেন।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, যুদ্ধবিরতির পর ইরান আবারও ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে, ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফ স্পষ্টভাবে এই তথ্য অস্বীকার করেছে।
সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরানি সশস্ত্র বাহিনীর দৃঢ় প্রতিরক্ষা এবং প্রতিশোধমূলক হামলা ইসরায়েলকে অনুতপ্ত হতে বাধ্য করেছে। তাদের পরাজয় মেনে নিতে হয়েছে এবং ইরানের বিরুদ্ধে একতরফা আক্রমণ বন্ধের অনুমোদন দিতে বাধ্য হয়েছে। কাউন্সিল ইরানি জনগণকে নিশ্চয়তা দিয়েছে যে দেশের সশস্ত্র বাহিনী ইসরায়েলকে বিশ্বাস করে না এবং যেকোনো শত্রুতাপূর্ণ আগ্রাসনের জন্য তারা সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
গত ১৩ জুন ইসরায়েল বিনা উস্কানিতে ইরানের বিরুদ্ধে হামলা শুরু করে, যার ফলে ইরানের পারমাণবিক, সামরিক এবং আবাসিক স্থাপনাগুলিতে বিমান হামলা চালানো হয়। এই হামলায় শত শত ইরানি নিহত হন, যার মধ্যে শীর্ষ সামরিক কমান্ডার, পারমাণবিক বিজ্ঞানী এবং সাধারণ মানুষও অন্তর্ভুক্ত।
ইরানের সামরিক বাহিনী এই হামলার পরপরই পাল্টা আক্রমণ শুরু করে। ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কোরের অ্যারোস্পেস ফোর্স ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি’র অংশ হিসেবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ২১টি প্রতিশোধমূলক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যার ফলে ইসরায়েল জুড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
এই পরিস্থিতি ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি করছে, এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজর এখন এই সংঘাতের দিকে। যুদ্ধবিরতির দাবি এবং সামরিক উত্তেজনা উভয়ই পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।