গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনার সরকারের পতন হয়। এর মাত্র চারদিন আগে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। তবে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর জামায়াতের ওপর থেকে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।
নিষেধাজ্ঞা না থাকায় জামায়াতে ইসলামী এখন অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর মতোই নিজেদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নিষেধাজ্ঞামুক্ত হলেও দলটির সঙ্গে কোনো ধরনের সম্পর্ক বা কোনো রকম যোগাযোগ করবে না ভারত।
একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম এবিপি লাইভ এক প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েয়ে, ভারত সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন না করার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল সেটিতে তারা অবিচল থাকবে। এ সিদ্ধান্ত থেকে ভারত সরে আসবে না।
দেশটির এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ভারত আশঙ্কা করছে জামায়াতে ইসলামী ও নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরির খুব শিগগিরই মূল ধারার রাজনীতিতে প্রবেশ করবে। এটি ভারতের নিরাপত্তাকে হুমকিতে ফেলতে পারে।
তিনি জানিয়েছেন, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে যদি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যে বৈঠক হয়, তাহলে মোদি বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন। দুজনেরই ২২ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার সরকার ২০১৩ সালে জামায়াতের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। ওই সময় সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতা লঙ্ঘন করার অভিযোগে দলটির নিবন্ধন বাতিল করা হয়। এরপর ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনে জামায়াতকে অংশ নিতে দেওয়া হয়নি।