জনপ্রিয় মার্কিন পপ গায়িকা কনি ফ্রান্সিস আর নেই। মঙ্গলবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় এই কিংবদন্তি শিল্পীর মৃত্যু হয়েছে, মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৮৭ বছর। কনির মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু রন রবার্টস, যিনি এক পোস্টে জানান, “অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে এবং ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আমি আপনাদের জানাচ্ছি যে গত রাতে আমার প্রিয় বন্ধু কনি ফ্রান্সিসের মৃত্যু হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।” চলতি জুলাই মাসের শুরুতে তীব্র পেটে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন কনি। তখন থেকেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে এবং শেষ পর্যন্ত তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। কনি ফ্রান্সিসের ফেসবুকে ৪ জুলাই তার শেষ পোস্টটি ছিল, যেখানে তিনি লিখেছিলেন, “আজ অনেকটা ভালো লাগছে। সবাইকে ৪ জুলাইয়ের শুভেচ্ছা।” কিন্তু এরপর আর সুস্থ হয়ে ওঠা হলো না তার। কনি ফ্রান্সিস ‘স্টুপিড কিউপিড’, ‘হু’স সরি নাউ’, ‘প্রিটি লিটল বেবি’— এই গানগুলোর মাধ্যমে কোটি ভক্তের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন। বিশেষ করে ‘প্রিটি লিটল বেবি’ গানটি ৬৩ বছর আগে রেকর্ড করা হলেও সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে আবার ভাইরাল হয়ে যায়, ফলে তিনি আবার আলোচনায় আসেন। ১৯৩৭ সালে নিউ জার্সির নিউইয়র্ক শহরে জন্মগ্রহণ করা কনির আসল নাম ছিল কনচেটা ফ্রানকোনেরো। মাত্র ৪ বছর বয়স থেকেই গান গাইতেন ও অ্যাকর্ডিয়ন বাজাতেন। ছোটবেলাতেই তিনি টেলিভিশনের গানের অনুষ্ঠানে যুক্ত হন। সংগীতজীবনে সফল হলেও কনি ফ্রান্সিসের ব্যক্তিজীবন ছিল কঠিন। তিনি চারবার বিয়ে করেও সুখী হতে পারেননি। গায়ক ববি ড্যারিনকে ভালোবেসেছিলেন, কিন্তু বাবার আপত্তির কারণে সেই সম্পর্ক ভেঙে যায়। এ নিয়ে প্রায় সারাটা জীবন কষ্টে কাটিয়েছেন তিনি। কনি ফ্রান্সিসের মৃত্যু সংগীত জগতে একটি শূন্যতা সৃষ্টি করেছে, যা সহজে পূরণ হবে না।