সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, গাজা পুরোপুরি দখল করা হবে কিনা, সে সিদ্ধান্ত ইসরায়েলের হাতে। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর গাজা দখলের পরিকল্পনায় যুক্তরাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করবে না। ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে গাজার মানুষের জন্য খাদ্য সরবরাহে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে এবং অন্যান্য বিষয়গুলো ইসরায়েলের ওপর নির্ভর করছে। তিনি আরও জানান, ইসরায়েল এই খাদ্য বিতরণ ও অর্থ সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রকে সহযোগিতা করবে। ট্রাম্প আশা প্রকাশ করেন যে, আরব দেশগুলোও এই উদ্যোগে অর্থ সহায়তা এবং বিতরণ ব্যবস্থায় যুক্ত হবে। প্রায় এক সপ্তাহ আগে ট্রাম্প গাজার জন্য নতুন খাদ্য বিতরণ কেন্দ্র স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। হোয়াইট হাউজ জানিয়েছিল, গাজায় ত্রাণ বিতরণের একটি নতুন পরিকল্পনা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে, তবে এখনো তা বাস্তবায়িত হয়নি। এদিকে, বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল ‘গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন’-এ উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ দিয়েছে, যদিও দেশটি আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। কারণ, এমন পদক্ষেপ ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নেতানিয়াহুর সমর্থকদের কাছে গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে। গাজায় বাস্তুচ্যুতির আদেশ জোর করে কার্যকর করা হচ্ছে, ফলে পুরো উপত্যকা ছোট ছোট অংশে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। বর্তমানে গাজার প্রায় ৮৬ শতাংশ এলাকা সামরিক নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বাকি অংশে অভিযান চালালে সাধারণ ফিলিস্তিনিদের পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলকে ব্যাপক সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র, যা পরিস্থিতির জটিলতা আরও বাড়িয়েছে।