কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার পর ভারত-পাকিস্তানের উত্তপ্ত সম্পর্ক এবার সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও ছড়িয়ে পড়েছে। দুই দেশের মধ্যে চলমান কূটনৈতিক টানাপড়েন এবার রূপ নিয়েছে সাংস্কৃতিক নিষেধাজ্ঞার লড়াইয়ে। পাকিস্তান সরকারের নতুন নির্দেশে দেশটির সব এফএম রেডিও স্টেশন থেকে একযোগে বাদ পড়েছে সব ভারতীয় গান। পাকিস্তান ব্রডকাস্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (পিবিএ) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দেশজুড়ে রেডিও তরঙ্গ থেকে এখন শোনা যাবে না লতা মঙ্গেশকর, কিশোর কুমার থেকে শুরু করে অরিজিৎ সিং বা শ্রেয়া ঘোষালের কণ্ঠ। দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানের বেতার তরঙ্গে বেজে আসা এসব গান এখন শুধুই স্মৃতি। পাকিস্তানের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী আতাউল্লা তারা এই সিদ্ধান্তকে ‘জাতীয় সংহতির প্রতীক’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন। সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এটি জাতীয় ঐক্যের বার্তা বহন করে। দেশের শান্তি ও সংহতির স্বার্থে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” এই পদক্ষেপকে বিশ্লেষকরা দেখছেন ভারতের সাম্প্রতিক সাংস্কৃতিক নিষেধাজ্ঞার পাল্টা জবাব হিসেবে। এর আগে ভারত বিভিন্ন পাকিস্তানি শিল্পী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। এখন পাকিস্তানের এই জবাবি পদক্ষেপ দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক ঠান্ডা যুদ্ধের ইঙ্গিত দিচ্ছে। সাংস্কৃতিক এই বিচ্ছিন্নতা দুই দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যকার সম্পর্কেও প্রভাব ফেলছে বলে মনে করছেন সমাজবিজ্ঞানীরা। দশকের পর দশক ধরে দুই দেশের মানুষ যে সাংস্কৃতিক বন্ধন ভাগ করে নিয়েছে, তা এখন হুমকির মুখে। তবে কূটনীতিকরা মনে করছেন, এ ধরনের পদক্ষেপ সাময়িক উত্তেজনার ফল এবং পরিস্থিতি শান্ত হলে আবারও সাংস্কৃতিক বিনিময় শুরু হতে পারে।