আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবসে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার নজিরবিহীন অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ৫ আগস্ট ভয়াবহ স্বৈরশাসনের পতন ঘটে। এখন গণতন্ত্রকে স্থায়ী করতে হলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ চালিয়ে যেতে হবে। রবিবার দেওয়া এক বাণীতে তারেক রহমান বলেন, “আমাদের রাষ্ট্র মেরামতের ভিত্তি হবে অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের মূলনীতির প্রাতিষ্ঠানিক প্রয়োগ।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন একদলীয় শাসনের বিরুদ্ধে, আর সেই বহুদলীয় গণতন্ত্রই ছিল বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের মূল দর্শন। মানবিক মর্যাদা, বাকস্বাধীনতা, সামাজিক ন্যায়বিচার ও সাম্য প্রকৃত গণতন্ত্রের ভিত্তি বলেও তিনি অভিহিত করেন। তারেক রহমানের মতে, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া এই গণতান্ত্রিক দর্শনকে এগিয়ে নিয়েছিলেন এবং এজন্য বারবার স্বৈরশাসনের আক্রমণের শিকার হয়েছেন। অপর এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “দেশবাসী ১৬ বছরের ভয়াবহ দুর্দশা অতিক্রম করে গত বছরের রক্তস্নাত আন্দোলনের মাধ্যমে বিজয় অর্জন করলেও পূর্ণ গণতন্ত্র এখনো আসেনি।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, অবাধ, মুক্ত ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। গণতন্ত্রকে টেকসই করতে হলে নিরপেক্ষ নির্বাচনের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করা অপরিহার্য। বিএনপির শীর্ষ নেতাদের এসব বার্তা দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে, যেখানে মূল এজেন্ডা হিসেবে উঠে এসেছে গণতান্ত্রিক কাঠামো পুনর্গঠনের প্রশ্ন।