আগামী বছরের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে টানাপোড়েন চলছেই। প্রতিযোগিতাটির ট্রফির সফর শুরু হয়েছে শনিবার পাকিস্তানের ইসলামাবাদ থেকে। গোলমাল বেঁধেছে সেখানেও। প্রথম পর্বে পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরের রাজধানী মুজাফফরাবাদে যাবে না ট্রফি। বাংলাদেশে এই ট্রফি আসবে আগামী মাসে।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) গত বৃহস্পতিবার সামাজিক মাধ্যমে ঘোষণা করেছিল ট্রফি সফরের শুরুর স্থান ও রুট। ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিষয়টি অবাক করে দেয় আইসিসিকে। যেহেতু এটি আইসিসি ইভেন্ট। তাই প্রোটোকল অনুযায়ী আইসিসিরই ট্রফি সফরের বিস্তারিত ঘোষণা করার কথা।
মুজাফফরাবাদসহ পাকিস্তানের অধিকৃত কাশ্মীরের বিভিন্ন অঞ্চলে ট্রফি সফর নিয়ে নাকি আপত্তি জানিয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। কাশ্মীর নিয়ে প্রতিবেশি দুই দেশের দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের।
পরে শুক্রবার ট্রফি সফরের বিকল্প রুট চূড়ান্ত করা হয়। শনিবার আইসিসি নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে ট্রফি সফরের বিস্তারিত।
শনিবার ইসলামাবাদে ট্রফি সফর শুরু হয়ে অ্যাবোটাবাদ, মুরি, করাচি হয়ে এটি যাবে টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী অন্য সাতটি দেশে।
বাংলাদেশে ট্রফি আসবে আগামী ১০ ডিসেম্বর। থাকবে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ট্রফি আবার পাকিস্তানে ফিরবে ২৭ জানুয়ারি।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে পাকিস্তানে হওয়ার কথা এই টুর্নামেন্ট। তবে আদৌ পাকিস্তানে হবে কি-না, তা নিয়ে এখনও রয়েছে অনিশ্চয়তা। সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, টুর্নামেন্টে খেলতে পাকিস্তানে না যাওয়ার কথা আইসিসিকে জানিয়ে দিয়েছে ভারতীয় বোর্ড।
এশিয়া কাপের মতো ‘হাইব্রিড মডেল’ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও দেখা যেতে পারে বলে সংবাদমাধ্যমে এসেছে। ভারতের ম্যাচগুলো সেক্ষেত্রে হতে পারে শ্রীলঙ্কায় বা দুবাইয়ে। ভারত সেমি-ফাইনালে ও ফাইনালে উঠলে সেই ম্যাচগুলোও হতে পারে পাকিস্তানের বাইরে।
যদিও পিসিবি জোর দিয়ে বলেছে, পুরো টুর্নামেন্ট হবে পাকিস্তানেই।