সাইফ আলী খানের ওপর হামলার তদন্ত নিয়ে নতুন উদ্বেগ তৈরি হয়েছে মুম্বাই পুলিশ কর্তৃক প্রকাশিত তথ্যের ফলে। বিভিন্ন ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, হামলার মূল অভিযুক্তের আঙুলের ছাপ সাইফের ওপর হামলার ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা ফিঙ্গার প্রিন্টের সাথে মিলে না। যদিও মুম্বাই পুলিশ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে, বিষয়টি তদন্তের স্বচ্ছতার ক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠিয়েছে।
আজ বিকেলে বান্দ্রা পুলিশ স্টেশন থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে পশ্চিম মুম্বাইয়ের অতিরিক্ত কমিশনার পরমজিত সিং দহিয়া মন্তব্য করেন যে, “আঙুলের ছাপ নিয়ে কিছু গণমাধ্যম বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে,” উল্লেখ করে বলেন, “ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা আঙুলের ছাপের আনুষ্ঠানিক রিপোর্ট এখনও হাতে আসেনি।”
এছাড়া, ফেস রিকগনিশনের প্রয়োজনীয়তা ও গ্রেপ্তারকৃত অভিযুক্ত ব্যক্তির সঠিকতা নিয়ে তিনি বলেন, “মুম্বাই পুলিশ নিশ্চিত যে আমরা সঠিক ব্যক্তি গ্রেপ্তার করেছি।” দহিয়া আরও যোগ করেন যে তদন্তের বিভিন্ন পর্যায়ে একাধিক প্রমাণ সংগ্রহ যায়, যার মধ্যে ফেস রিকগনিশন এবং মৌখিক বিবৃতিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
তদন্তকারী কর্মকর্তাকে বদলি করার সিদ্ধান্তের প্রসঙ্গে দহিয়া স্পষ্ট করেন যে, “এটি মামলা পরিচালনার স্বার্থে করা হয়েছে।” তিনি জানান, হামলার সরাসরি সাক্ষীদের বয়ান নেওয়া হয়েছে এবং সরকারি সাক্ষীগণেরও বিবৃতি নেওয়া হবে।
সাইফ আলী খানের হাসপাতাল ভর্তির সময় সম্পর্কে বিভ্রান্তি কাটানোর জন্য দহিয়া বলেন, “সাইফ আলী খান হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ২টা ৪৭ মিনিটে পৌঁছেছিলেন,” এবং এই তথ্য লীলাবতী হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ দ্বারা সমর্থিত।
হামলার তদন্তে কলকাতায় যাওয়ার কারণে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম বাংলাদেশ থেকে আসার পর কলকাতায় অবস্থান করেছেন এবং সেখানে যারা তাকে সহযোগিতা করেছে, তাদের বিবৃতি নেওয়ার জন্য অভিযান চালানো হয়েছে।
বর্তমানে মুম্বাই পুলিশ শরিফুল ইসলামকে আবারও আদালতে হাজির করার প্রস্তুতি নিচ্ছে, তবে তদন্তের উপর কোনও বিশেষ তথ্য প্রকাশে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষাপ্রদ ঘটনা সত্ত্বেও, এই হামলার তদন্তের স্বচ্ছতা ও সঠিক তথ্যের অনুসন্ধান নিয়ে শিক্ষার্থীরা এবং জনসাধারণের উদ্বেগ একটি বড় প্রশ্ন চিহ্ন হিসেবে রয়ে গেছে।