শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
আলাল খালেদা জিয়ার সেনানিবাসের বাড়ি ফেরতের দাবি জানালেন বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা হলের নাম পরিবর্তন কুবিতে নতুন রাজনৈতিক দল আসা প্রয়োজন ছাত্র-জনতার সমন্বয়ে: সারজিস আপিল শুনানি শেষ, রায় যেকোনো দিন : ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা কেনিয়ার চুক্তি বাতিল যুক্তরাষ্ট্রে আদানির বিরুদ্ধে পরোয়ানার পর, বাংলাদেশ কী করবে? মোহিনীর সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন,এআর রহমানের বিচ্ছেদ; কি বলছেন পুত্র-কন্যা? শেয়ারে ‘ধস’ গৌতম আদানির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে মামলার পরেই বোমা হামলার পরিকল্পনা নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে: ফ্লোরিডায় গৃহহীন ব্যক্তি গ্রেফতার বিতর্কিত আউট নিয়ে প্রশ্ন আর সমালোচনার ঝড় রাহুলের যেভাবে ফ্রিজে রাখা যায় রসুন

সব দুর্নীতির মূলোৎপাটন হোক বিগত সরকারের,ভুয়া কোম্পানিকে কার্যাদেশ

bornomalanews
  • Update Time : শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৫৪ Time View

বিগত সরকারের আমলের বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়টি বহুল আলোচিত। অভিযোগ উঠেছে, সাবেক এক সচিবের চাপে যাচাই-বাছাই ছাড়াই বাংলাদেশ গ্যাসফিল্ড কোম্পানি লিমিটেডের (বিজিএফসিএল) ৯১০ কোটি টাকার প্রকল্পের কার্যাদেশ একটি ভুয়া ও নামসর্বস্ব কোম্পানিকে দেওয়া হয়েছিল। নোয়া (নোটিফিকেশন অব অ্যাওয়ার্ড) ইস্যুর পরপরই পেট্রোবাংলার এক বৈঠকে ফাঁস হয়ে যায় জাল-জালিয়াতির তথ্য। নামসর্বস্ব একটি কোম্পানিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি খাতের এক বড় বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান হিসাবে দেখিয়ে দরপত্রে অংশ নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন সিন্ডিকেট। পরে তদন্তে দেখা গেছে, বাস্তবে এ নামের কোনো কোম্পানির অস্তিত্বই নেই যুক্তরাষ্ট্রে। ‘টেকনোস্টিম এনার্জি’ নামে ওই কোম্পানির মালিকানার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন খোদ ওই সচিবের চাচা। বিস্ময়কর হলো, জাল-জালিয়াতির ভয়াবহ তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয় দফায় কৌশল করে ওই কোম্পানির দেওয়া বিডবন্ডটিও আত্মসাৎ করে নেয় সিন্ডিকেট। অভিযোগ আছে, বিগত সরকারের এক প্রতিমন্ত্রী ও প্রভাবশালীদের ঘনিষ্ঠভাজন হওয়ায় জাল-জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকা সাবেক ওই সচিবের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উলটো পুরস্কৃত করা হয়েছে সাবেক ওই সচিবকে।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এ ঘটনায় তদন্ত করার জন্য একজন তদন্তকারী কর্মকর্তা নিযুক্ত করলেও প্রভাবশালীদের চাপে সেই তদন্ত কার্যক্রমও আলোর মুখ দেখেনি। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে দুদকের তৎকালীন এক উপপরিচালক এ ঘটনার তদন্ত করতে পেট্রোবাংলার কাছে এ সংক্রান্ত সব ধরনের তথ্য চেয়ে চিঠি দেন। পেট্রোবাংলা সেই চিঠির জবাব কেন এখন পর্যন্ত দেয়নি তা খতিয়ে দেখা দরকার। এরপর দুদকের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে আর কোনো তৎপরতা লক্ষ করা যায়নি। অভিযোগ উঠেছে, এ সুযোগে সিন্ডিকেটের এক পক্ষ পেট্রোবাংলা থেকে এ প্রকল্পের সব ধরনের ডকুমেন্ট গায়েব করে দিয়েছে।

বাংলাদেশ গ্যাসফিল্ডের তিতাস লোকেশনে সাতটি ওয়েলহেড কম্প্রেসার স্থাপন প্রকল্প ঘিরেই এসব দুর্নীতি হয়েছে। তিতাস লোকেশন ‘এ’-তে প্রতিদিন ৬০ মিলিয়ন ঘনফুট ক্ষমতাসম্পন্ন মোট সাতটি ওয়েলহেড কম্প্রেসার স্থাপনের লক্ষ্যে ২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। কারণ, ওই সাতটি কূপে গ্যাসের চাপ কমে গিয়েছিল। কম্প্র্রেসার বসানো হলে কূপগুলো থেকে আগের মতো গ্যাস উৎপাদন সম্ভব হবে। ৯১০ কোটি টাকার এ প্রকল্পের শুরুতেই প্রভাবশালী চক্র দুর্নীতির ফাঁদ পাতে।

যাচাই-বাছাই না করে বিজিএফসিএল তড়িঘড়ি করে কেন নামসর্বস্ব একটি প্রতিষ্ঠানকে নোটিফিকেশন অব অ্যাওয়ার্ড ইস্যু করেছিল, সে রহস্য উদ্ঘটানে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। বস্তুত পুরো কার্যক্রম জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করার কারণে নোয়া ইস্যুর ২৮ দিনের মধ্যে কোম্পানিটি বিজিএফসিএলের সঙ্গে চুক্তি করতে পারেনি। জমা দিতে পারেনি দরপত্রের ১০ শতাংশ পারফরম্যান্স গ্যারান্টির অর্থও। কোম্পানির স্থানীয় হিসাবে পরিচয়দানকারী ব্যক্তি বিডবন্ডের অর্থ নিয়েও প্রতারণার আশ্রয় নেন। এ কারণে দরপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া সাড়ে ১২ কোটি টাকার বিডবন্ডটিও মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যায়। বস্তুত এ অর্থ যাতে সরকারি কোষাগারে জমা হতে না পারে, সেজন্যই এ কৌশল অবলম্বন করা হয়েছিল। এ অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যারা জড়িত, তাদের সবাইকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা সম্ভব না হলে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা থেকেই যায়।

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024 bornomalanews24.com
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102