বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১১:১৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
চট্টগ্রামের পটিয়ায় পুলিশের সঙ্গে এনসিপি ও ছাত্র আন্দোলনের সংঘর্ষ: উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ আবু সাঈদ হত্যা : ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল চীন সফর শেষে দেশে ফিরলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর চীন সফর শেষে দেশে ফিরলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকার ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উদযাপনের জন্য জেলা পর্যায়ে বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করেছে এনবিআরে প্রবেশ ও বের হওয়া নিষিদ্ধ, আন্দোলনকারীদের অবস্থান প্রকাশ ইরানে যুদ্ধের পরিস্থিতিতে ২৫০ বাংলাদেশির দেশে ফেরার জন্য নিবন্ধন: সরকার প্রস্তুতি গ্রহণ করছে হাসিনার পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ করলো ট্রাইব্যুনাল মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতির কাজ পুরোদমে এগিয়ে নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)

৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত না এলে ঢাকা অবরোধের ঘোষণা জুলাইযোদ্ধাদের

bornomalanews
  • Update Time : শনিবার, ২২ মার্চ, ২০২৫
  • ৯১ Time View

রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আবারও মুখর হয়ে উঠেছে জুলাই আন্দোলনের স্লোগান। প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছেন ওয়ারিয়র্স অফ জুলাইয়ের নেতাকর্মীরা। তাদের দাবি স্পষ্ট—২০২৪ সালের গণহত্যার জন্য দায়ী আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। জুলাই আন্দোলন শুধু নির্বাচনের জন্য হয়নি, এটি একটি বৃহত্তর ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। ওয়ারিয়র্স অফ জুলাইয়ের নেতারা কঠোর ভাষায় সতর্ক করে দিয়েছেন, “আপনারা যদি মনে করেন, ২২ হাজার আহত পরিবার, হাসপাতালে ভর্তি অসহায় মানুষদের দেখেও আপনারা যা খুশি করতে পারবেন, তাহলে ভুল করছেন। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হলে, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে শহীদ মিনারে আমরা একটি বৃহত্তর গণজমায়েত করব।”

রাজু ভাস্কর্যে সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পৌঁছান। সেখানে তাদের কর্মসূচি সমাপ্ত হয়। কিন্তু তাদের প্রতিবাদ থামেনি। তাদের কণ্ঠে ছিল ক্ষোভ, বেদনা এবং দৃঢ় সংকল্প। তারা জানান, এই আন্দোলন শুধু তাদের জন্য নয়, এটি সেই সব মানুষের জন্য যারা ন্যায়বিচার চায়।

এদিকে, গণঅধিকার পরিষদের নেতারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না করার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি তুলেছেন। শনিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ এবং গণহত্যার বিচারের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। তাদের বক্তব্য ছিল তীব্র এবং স্পষ্ট। “এ সরকার পাঁচ বছরও ক্ষমতায় থাকুক, তাতে গণহত্যার বিচার হবে না। আওয়ামী লীগ একটি খুনি মাফিয়া এবং গণহত্যাকারী গোষ্ঠী।”

গণঅধিকার পরিষদের নেতারা আরও অভিযোগ করেন, সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানোর ষড়যন্ত্র চলছে। তাদের মতে, এই ষড়যন্ত্রের পেছনে রয়েছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব। তারা দাবি করেন, এই সরকারের অধীনে ন্যায়বিচার পাওয়া সম্ভব নয়।

এই প্রতিবাদ এবং আন্দোলন শুধু একটি রাজনৈতিক দাবি নয়, এটি একটি মানবিক দাবি। জুলাই আন্দোলনের আহতরা, শহীদ পরিবার এবং সাধারণ মানুষ—সবাই চায় ন্যায়বিচার। তারা চায় গণহত্যার বিচার। তারা চায় একটি সুস্থ এবং ন্যায়ভিত্তিক সমাজ।

এখন প্রশ্ন হলো, এই আন্দোলন কি সফল হবে? আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হবে কি না? নাকি এই প্রতিবাদও হারিয়ে যাবে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের গহ্বরে? সময়ই তা বলবে। কিন্তু একথা নিশ্চিত, জুলাই আন্দোলনের এই সংগ্রাম বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয়ে থাকবে।

এই আন্দোলন শুধু একটি দল বা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে নয়, এটি একটি ব্যবস্থার বিরুদ্ধে। একটি ব্যবস্থা, যা মানুষের মৌলিক অধিকার এবং মানবিক মর্যাদাকে অস্বীকার করে। ওয়ারিয়র্স অফ জুলাই এবং গণঅধিকার পরিষদের এই আন্দোলন একটি বার্তা দেয়—যে কোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো সম্ভব।

এখন শুধু অপেক্ষা, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় কী হয়। এই আন্দোলন কি সফল হবে? নাকি রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের আরও একটি অধ্যায় রচিত হবে? সময়ই তা বলবে। কিন্তু একথা নিশ্চিত, তাদের আন্দোলন বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয়ে থাকবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2025 bornomalanews24.com
themesba-lates1749691102