ভারত থেকে আমদানি নিষিদ্ধ পণ্যের তালিকা সম্প্রসারিত হয়েছে, এবং এবার নেপাল ও ভুটানের কিছু পণ্যও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এই তথ্য প্রকাশ করেছে। গত রবিবার (১৩ এপ্রিল) প্রকাশিত গেজেটের মাধ্যমে এনবিআরের কাস্টমস উইং এই নির্দেশনা জারি করেছে। নিষিদ্ধ পণ্যের তালিকায় রয়েছে—ডুপ্লেক্স বোর্ড, নিউজপ্রিন্ট, ক্রাফট পেপার, সিগারেট পেপার, মাছ, সুতা, আলু, গুঁড়া দুধ, টোব্যাকো, রেডিও-টিভি পার্টস, সাইকেল ও মোটর পার্টস, ফরমিকা শিট, সিরামিকওয়্যার, স্যানিটারিওয়্যার, স্টেইনলেস স্টিলওয়্যার, মার্বেল স্ল্যাব ও টাইলস, এবং মিক্সড ফেব্রিক্স। নতুন প্রজ্ঞাপনের আওতায়, নেপাল ও ভুটানে উৎপাদিত এবং প্রক্রিয়াজাত সুতা ও আলু ছাড়া অন্যান্য সব পণ্য আমদানি করা যাবে। তবে, মূসক নিবন্ধিত বিড়ি উৎপাদনকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো কাঁচামাল হিসেবে তামাক ডাঁটা আমদানি করতে পারবে, যা প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া, পূর্বে জারি করা এসআরও নম্বর ২৯৭-আইন/২০২৪/৮৯/কাস্টমস প্রজ্ঞাপনটির কিছু ক্রমিক নম্বর সংশোধন করা হয়েছে, ফলে পণ্য তালিকার হালনাগাদ করা হয়েছে এবং ‘সব রপ্তানিযোগ্য পণ্য’ আগের মতোই অব্যাহত রাখা হয়েছে। এনবিআর জানায়, স্থানীয় শিল্পকে সুরক্ষা এবং অবৈধ রি-এক্সপোর্ট বা রিরাউটিং রোধ করতেই এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। বিশেষ করে টেক্সটাইল, কাগজ ও সিরামিক পণ্য খাতে দেশীয় শিল্পের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা রক্ষা করাই মূল উদ্দেশ্য। এদিকে, গত ৮ এপ্রিল ভারত সরকার বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে। ২০২০ সালের ২৯ জুন ভারত এই সুবিধা বাংলাদেশকে দিয়েছিল, যার মাধ্যমে বাংলাদেশ ভারতীয় বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে পণ্য পাঠাতে পারতো। এখন এই সুবিধা আর পাচ্ছে না বাংলাদেশ, অর্থাৎ ভারতীয় বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে ট্রান্সশিপমেন্ট করা সম্ভব নয়। তবে, নেপাল ও ভুটানে স্থলপথে ট্রানজিট নিয়ে পণ্য পাঠানোর ক্ষেত্রে কোনো জটিলতা থাকছে না। এই পরিস্থিতি দেশের বাণিজ্যিক পরিবেশে নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে এসেছে, যা স্থানীয় শিল্পের সুরক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।