রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১০:২৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
প্রধান উপদেষ্টাকে শাহবাজ শরিফের পাকিস্তান সফরে আমন্ত্রণ বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ড: ফরেনসিক তদন্তে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, দেশজুড়ে আগুন-নিরাপত্তা সপ্তাহ ঘোষণা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যমুনায় বিএনপির প্রতিনিধিদল! দেশের বিভিন্ন স্থানে ধারাবাহিক অগ্নিকাণ্ড: তদন্তে কোর কমিটি গঠন! কী আছে জুলাই সনদের অঙ্গীকারনামায়? এইচএসসি ফলাফলে বিস্মিত সবাই, শিক্ষার প্রকৃত সংকটে দায় এড়াতে পারে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়: শিক্ষা উপদেষ্টা মিরপুর অগ্নিকাণ্ড: শনাক্ত সাতজনের মরদেহ নিয়ে স্বজনদের দাবি এনসিপি প্রতীক বাছাই না করলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি :কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে তুরস্ক হয়ে দেশে ফিরছেন শহিদুল আলম শাপলা প্রতীক না পেলে নিবন্ধন নয়, নির্বাচন কমিশনকে হুঁশিয়ারি!

বেগম জিয়া যেন আদর্শের বাতিঘর!!

bornomalanews
  • Update Time : বুধবার, ৭ মে, ২০২৫
  • ২০৭ Time View

বেগম খালেদা জিয়ার রাজকীয় প্রত্যাবর্তন: জনগণের ভালোবাসায় সিক্ত বেগম খালেদা জিয়া, বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ, চার মাস লন্ডনে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন রাজকীয় এক প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে। বিমানবন্দর থেকে গুলশানে তাঁর বাড়ি পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা লাখো মানুষ তাঁকে শুভেচ্ছায় সিক্ত করেছে। এই জনস্রোতে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বেশিরভাগেরই কোনো রাজনৈতিক পরিচয় ছিল না; তাঁরা ছিলেন গণতন্ত্রকামী বাংলাদেশের গর্বিত নাগরিক, যারা বেগম খালেদা জিয়াকে শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন। বেগম খালেদা জিয়ার এই রাজসিক প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। জনগণের ভালোবাসা ও সমর্থন যে সম্মানের একটি প্রমাণ, তা তিনি আবারও প্রমাণ করেছেন। তাঁর প্রত্যাবর্তন থেকে শিক্ষা নেওয়ার মতো বিষয় হলো, সম্মান কখনো জোর করে আদায় করা যায় না; এটি জনগণের হৃদয় থেকে আসে। বেগম খালেদা জিয়া তাঁর নীরবতা, আপসহীনতা এবং অন্যায়-অত্যাচার সহ্য করার দৃঢ়প্রতিজ্ঞতার মাধ্যমে মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। এছাড়া, বেগম খালেদা জিয়ার প্রত্যাবর্তন আমাদের শেখায় যে ধৈর্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গত ১৭ বছর ধরে বিএনপি তীব্র অত্যাচার ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে, কিন্তু তারা ধৈর্যহারা হয়নি। বরং জনগণকে সংগঠিত করে তারা শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করেছে। বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের রাজনীতিতে শুধু নয়, বিশ্বের রাজনীতিতে নির্যাতিত-নিপীড়িত রাজনীতিবিদের প্রতীক। তিনি বিনা অপরাধে দীর্ঘ দুই বছর কারাবন্দি ছিলেন, কিন্তু এসবের বিরুদ্ধে তিনি মাথা নত করেননি। বেগম খালেদা জিয়ার রাজনীতির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো আদর্শে অটল থাকা। তিনি কখনোই তাঁর আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি। ১৯৮৩ সাল থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত, তিনি সবসময় জনগণের স্বার্থে লড়াই করেছেন। তাঁর আপসহীনতা এবং আদর্শের প্রতি অবিচল থাকার কারণে জনগণ তাঁকে ভালোবাসে এবং শ্রদ্ধা করে। সাফল্যের জন্য ত্যাগ স্বীকারের বিষয়টিও বেগম খালেদা জিয়ার জীবনে স্পষ্ট। তিনি দীর্ঘদিন জুলুম-নির্যাতনের মুখোমুখি হয়েও দেশকে ভালোবেসেছেন এবং দেশের মাটি আঁকড়ে রেখেছেন। তাঁর প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে তিনি আবারও প্রমাণ করেছেন যে, তিনি বাংলাদেশের রাজনীতিতে সবচেয়ে বড় ফ্যাক্টর। বেগম খালেদা জিয়ার আগমন এবং জনগণের বিপুল স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে স্পষ্ট হয়েছে যে, জনগণ গণতন্ত্র চায় এবং একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে জনগণের একজন নেতাকে দেখতে চায়। তাঁর জনপ্রিয়তা হিমালয়সম এবং বঙ্গোপসাগরের মতো। বেগম খালেদা জিয়া শুধু রাজনীতিবিদদের জন্য নয়, বরং সবার জন্য শিক্ষণীয় এবং পূজনীয় একজন ব্যক্তিত্ব। এখন সময় এসেছে, সবাই যেন বেগম খালেদা জিয়ার আদর্শ ও নেতৃত্বের বার্তা অনুধাবন করে। আগামী প্রজন্মের জন্য তিনি যেন আদর্শের বাতিঘর হয়ে থাকেন, এটাই সকলের প্রত্যাশা।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2025 bornomalanews24.com
themesba-lates1749691102