বাংলাদেশ সফরে আসছে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দল, যা দেশের ক্রিকেট প্রেমীদের জন্য একটি উত্তেজনাপূর্ণ খবর। সফরের অংশ হিসেবে তারা তিনটি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ এবং দুটি চারদিনের প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলবে। এই সফরে ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব দেবেন নিক কেলি, যিনি সম্প্রতি পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে অভিষেক করেছেন। চারদিনের ম্যাচে অধিনায়কত্ব করবেন জো কার্টার, যিনি দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। নিক কেলি, রিস মারিউ এবং মোহাম্মদ আব্বাস—এই তিনজনের জন্য পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজটি ছিল বিশেষ। বিশেষ করে মোহাম্মদ আব্বাসের ২৪ বলে দ্রুততম ফিফটি করার কৃতিত্ব তাকে বিশেষভাবে পরিচিতি এনে দিয়েছে। কেলি ও মারিউ প্লানকেট শিল্ডে শীর্ষ রান সংগ্রাহকদের মধ্যে ছিলেন, যা তাদের সাম্প্রতিক ফর্মের প্রমাণ। দলে উইকেটকিপার হিসেবে রয়েছেন মিচ হে, যিনি পাকিস্তানের বিপক্ষে হ্যামিল্টনে অপরাজিত ৯৯ রানের ইনিংস খেলে নজর কেড়েছেন। অলরাউন্ডার জশ ক্লার্কসনও স্কোয়াডে জায়গা পেয়েছেন, যা দলের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক হবে। পেস আক্রমণে অভিজ্ঞ জ্যাক ফোল্কস ও বেন লিস্টার থাকছেন, এবং লেগ স্পিনার হিসেবে আদি আশোক দলের শক্তি বাড়াবেন। দলের কোচ বব কার্টার জানিয়েছেন, এই সফরটি অনেক খেলোয়াড়ের জন্য উপমহাদেশে খেলার প্রথম অভিজ্ঞতা হবে। এটি তাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ এবং দক্ষতা উন্নয়নের বড় সুযোগ। উপমহাদেশের কন্ডিশনে খেলার অভিজ্ঞতা অর্জন করা তাদের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের সফরের সূচি অনুযায়ী, একদিনের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে সিলেটে ৫, ৭ ও ১০ মে। এরপর প্রথম চারদিনের ম্যাচ সিলেটেই ১৪ থেকে ১৭ মে এবং দ্বিতীয়টি ঢাকায় ২১ থেকে ২৪ মে পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের স্কোয়াডে রয়েছেন মোহাম্মদ আব্বাস, আদি আশোক, ম্যাট বয়েল, জো কার্টার (লাল বল অধিনায়ক), ক্রিশ্চিয়ান ক্লার্ক, জশ ক্লার্কসন, জ্যাক ফোল্কস, ডিন ফক্সক্রফট, মিচ হে, কার্টিস হিফি, নিক কেলি (সাদা বল অধিনায়ক), জেডেন লেননক্স, বেন লিস্টার, রিস মারিউ এবং ডেল ফিলিপস। এই সফরটি বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য একটি নতুন অধ্যায় এবং দুই দলের মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে। ক্রিকেট প্রেমীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন এই সফরের জন্য, যা নতুন প্রতিভাদের উন্মোচন এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে।