রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কূটনৈতিক তৎপরতা ফের জোরদার হয়েছে। সোমবার এক গুরুত্বপূর্ণ টেলিফোন আলাপনে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ও তাঁর মার্কিন সমকক্ষ মার্কো রুবিও, হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে আসন্ন পুতিন-ট্রাম্প শীর্ষ সম্মেলনের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করেছেন। উভয় দেশই নিশ্চিত করেছে, এই আলোচনার মূল উদ্দেশ্য হল চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের টেকসই সমাধান নিয়ে যৌথ উদ্যোগ ও নতুন সহযোগিতার ক্ষেত্র উন্মোচন করা। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান উপ-মুখপাত্র টমি পিগট জানিয়েছেন, রুবিও বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন, এই বৈঠক দুই পরাশক্তির জন্য একটি নতুন সুযোগ হয়ে উঠতে পারে, যেখানে ইউক্রেন সংকট নিরসনে যৌথ কূটনৈতিক প্রচেষ্টা আরও জোরালো হতে পারে। তবে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির অংশগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকেই যাচ্ছে। যদিও আগেই জেলেনস্কি জানিয়েছিলেন, আমন্ত্রণ পেলে তিনি আলোচনায় অংশ নিতে প্রস্তুত, মস্কো ও ওয়াশিংটনের কোনো বিবৃতিতেই তাঁর সম্ভাব্য উপস্থিতি নিয়ে কিছু উল্লেখ করা হয়নি। ক্রেমলিনের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে, জেলেনস্কির অংশগ্রহণ সম্পর্কে কোনো নির্দিষ্ট তথ্য নেই। উল্লেখ্য, গত আগস্টে আলাস্কায় অনুষ্ঠিত প্রথম ট্রাম্প-পুতিন শান্তি আলোচনার পর থেকে ইউক্রেন সংকট নিরসনে কূটনৈতিক উদ্যোগ কার্যত স্থবির হয়ে পড়ে। সাম্প্রতিক ঘোষণায় জানানো হয়েছে, উভয় নেতা বুদাপেস্টে দ্বিতীয় দফা বৈঠকে মিলিত হবেন। তবে, আগের বৈঠকের মতো এবারও জেলেনস্কি অংশ নেবেন কি না—তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই বৈঠক যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে শান্তি ফেরানোর ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করতে পারে, তবে এর সাফল্য অনেকটাই নির্ভর করছে সকল পক্ষের অংশগ্রহণ ও আন্তরিকতার ওপর। সূত্র: এসসিএমপি