পাকিস্তান সফরে গিয়ে ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। শান মাসুদদের ২-০ ব্যবধানে হারানোর সুখস্মৃতি নিয়ে ভারত সফরে পা রেখেছিলেন নাজমুল শান্তরা। কিন্তু ভারতের কাছে ২-০ ব্যবধানে বাজেভাবে হেরেছে। যেন পাকিস্তানে মুদ্রার একপিঠ ও ভারতে মুদ্রার অন্য পিঠ দেখল বাংলাদেশ।
এই দুই টেস্ট সিরিজ থেকে বাংলাদেশের টেস্ট দল নিয়ে দু’রকম ধারণা পাওয়া যায়। পাকিস্তানে টেস্ট জিতে বাংলাদেশ খুব ভালো দল হয়ে যায়নি। তবে টেস্টে উন্নতির গ্রাফ ছিল ঊর্ধ্বমূখী। ভারতের কাছে হেরে আবার বাংলাদেশ খুব খারাপ দলও হয়ে যায়নি। হাসান মাহমুদ ৫ উইকেট নিয়েছেন, মুমিনুল হক ভারতের মাটিতে সেঞ্চুরি করেছেন। তবে টেস্টে বাংলাদেশ ও ভারতের পার্থক্য যে যোজন সেটা পরিষ্কার হয়েছে।
ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ দলের কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে যেমন জানিয়েছেন, হারে অবশ্যই তারা হতাশ। বিশেষ করে ব্যাটিং খারাপ হয়েছে। তবে ভারতের মাটিতে খেলা যে কঠিন হবে এটা তাদের জানাই ছিল। এছাড়া খেলা তো দুই দলের দক্ষতা ও সামর্থ্য দেখানোর। ওই জায়গায় ভারতের বেশি সামর্থ্য ও দক্ষতার কাছে হেরেছেন তারা।
এই সিরিজ হারে শতাব্দির সবচেয়ে বাজে টেস্ট দলের খেতাব পেয়েছে বাংলাদেশ দল। গত এক শতাব্দিতে টেস্টে বাংলাদেশের চেয়ে খারাপ করেনি কোন দল। বাংলাদেশ ১৪৬ টেস্ট খেলে মাত্র ২১টি জিতেছে। হেরেছে ১০৭টি, ড্র ১৮টি। জয়ের শতাংশ মাত্র ১২.৭১।
বাংলাদেশ টেস্ট মর্যাদা পেয়েছে ২৪ বছর। এই সময়ে একশ’র বেশি টেস্ট হারা বাকি দুই দল হলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং ইংল্যান্ড। গত ২৪ বছরে ক্যারিবীয়রা ২২২ টেস্ট খেলে ১১৮টি হেরেছে। তাদের জয় ২২ শতাংশ। অন্যদিকে ইংল্যান্ড ৩১১ টেস্টের ১০৪টি হেরেছে। তবে তাদের জয়ের হার ৪৪.৬৯। ৭৮ টেস্ট খেলে ১০ জয় পাওয়া জিম্বাবুয়ের জয়ের হার ১২.৮০। ওই হিসেবে এই শতাব্দির বাজে টেস্ট দল বাংলাদেশ।