মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১১:০২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ আবু সাঈদ হত্যা : ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল চীন সফর শেষে দেশে ফিরলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর চীন সফর শেষে দেশে ফিরলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকার ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উদযাপনের জন্য জেলা পর্যায়ে বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করেছে এনবিআরে প্রবেশ ও বের হওয়া নিষিদ্ধ, আন্দোলনকারীদের অবস্থান প্রকাশ ইরানে যুদ্ধের পরিস্থিতিতে ২৫০ বাংলাদেশির দেশে ফেরার জন্য নিবন্ধন: সরকার প্রস্তুতি গ্রহণ করছে হাসিনার পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ করলো ট্রাইব্যুনাল মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতির কাজ পুরোদমে এগিয়ে নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) হজপালন শেষে দেশে ফিরলেন ৪০ হাজার ৫২০ জন হাজি

বাংলাদেশ নিয়ে ট্রাম্পের মন্তব্যের কারণ জানা গেল!

bornomalanews
  • Update Time : শুক্রবার, ১ নভেম্বর, ২০২৪
  • ১৩৫ Time View

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক্সে (সাবেক টুইটার) পোস্টে বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিস্টান ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে সম্পূর্ণ বিশৃঙ্খল অবস্থায় রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) এক এক্স (সাবেক টুইটার) পোস্টে রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ট্রাম্প এসব কথা বলেন।

পোস্টে ট্রাম্প অভিযোগ করে লিখেছেন, তার প্রশাসনের সময় এমন ঘটনা ঘটেনি এবং কমলা হ্যারিস ও জো বাইডেন বিশ্বজুড়ে হিন্দুদের অবহেলা করেছেন।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে হিন্দুদের সুরক্ষা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি ভারত ও প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করার আশ্বাস দেন। দীপাবলির শুভেচ্ছা জানিয়ে ট্রাম্প বলেন, আলোর উৎসব শুভশক্তির বিজয় আনুক।

এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক টুইটটি বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে আন্তর্জাতিক আলোচনার প্রসারিত অংশ হয়ে উঠেছে। তবে এই টুইটটি শুধু মানবিক সহানুভূতির প্রতিফলন নয় বরং যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রতি রাজনৈতিক সমর্থন আদায়ের একটি কৌশল হিসেবেও দেখা যেতে পারে। এমন বার্তা দিয়ে তিনি মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভারতীয় ও হিন্দু ভোটারদের মনোযোগ আকর্ষণ করছেন, যা তার নির্বাচনী প্রচারণার কৌশল বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

বিভিন্ন পর্যবেক্ষক ও বিশ্লেষক বলছেন, ট্রাম্পের এ ধরনের বক্তব্য অনেকাংশে অতিরঞ্জিত এবং তার মধ্যে ভারতের ডানপন্থি মিডিয়া ও রাজনীতিবিদদের প্রভাব থাকতে পারে। যেমন, যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক বিশ্লেষক আলী রীয়াজ বলেছেন, এই টুইট ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের বিষয়টি মূলত নির্বাচনী সুবিধা অর্জনের প্রচেষ্টা, যা তার হিন্দু ভোটারদের সমর্থন পেতে সাহায্য করবে।

এ ছাড়া ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আগে থেকেই আলোচিত, যা নির্বাচনকালীন সময়ে আরও দৃঢ় করার ইঙ্গিত দিচ্ছে। তাই, ভারতীয় সমর্থনকে কাজে লাগিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাংলাদেশ সম্পর্কিত টুইট ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণের একটি প্রতিফলন হতে পারে।

তবে এই পরিস্থিতি বাংলাদেশের জন্য আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভাবমূর্তি বজায় রাখার চ্যালেঞ্জ হিসেবে দাঁড়িয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বাংলাদেশের উচিত আন্তর্জাতিক মহলে নিজের অবস্থান সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরা, যাতে ভুল তথ্যের প্রচারণা প্রতিহত করা যায় এবং দেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি সম্পর্কে সঠিক চিত্র বিশ্ববাসীর সামনে আসে।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১৯ জুলাই এক বৈঠকে ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশ সম্পর্কে অসচেতনতার প্রমাণ দেন। হোয়াইট হাউসে ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাতে এক রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সহায়তা নিয়ে ট্রাম্পের পরিকল্পনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আসলে কোথায়?’

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2025 bornomalanews24.com
themesba-lates1749691102