যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দফার বাংলাদেশ-মার্কিন দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আলোচনার তৃতীয় ও শেষ দিনে উভয় পক্ষ কয়েকটি ইস্যুতে সমঝোতায় পৌঁছলেও কিছু বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের প্রেস উইং শনিবার (১২ জুলাই) সকালে পাঠানো এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে যে, দুই দেশ আন্তঃমন্ত্রণালয় পর্যায়ের আলোচনা অব্যাহত রাখতে একমত হয়েছে। ভবিষ্যত বৈঠকগুলো ভার্চুয়ালি অথবা সরাসরি উভয় পদ্ধতিতেই অনুষ্ঠিত হবে এবং এসবের সময়সূচি দ্রুত নির্ধারণ করা হবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন। ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। এছাড়া সরকারের বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরা ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে আলোচনায় যুক্ত ছিলেন। ওয়াশিংটনে তিন দিনব্যাপী এই আলোচনা সমন্বয়ের দায়িত্বে ছিল বাংলাদেশ দূতাবাস।
আলোচনা শেষে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন, বাণিজ্য সচিব ও অতিরিক্ত সচিব শনিবার দেশে ফিরেছেন। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রয়োজনে তারা পুনরায় যুক্তরাষ্ট্র সফর করবেন। আলোচনার ফলাফল প্রসঙ্গে বাণিজ্য উপদেষ্টা ও নিরাপত্তা উপদেষ্টা উভয়েই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ইতিবাচক সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব হবে।এই আলোচনার পটভূমিতে রয়েছে গত ৭ জুলাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণা, যেখানে বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশের রপ্তানি পণ্যে ৩৫% অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এপ্রিলে প্রথম দফার শুল্ক ঘোষণা সাময়িক স্থগিত হওয়ার পর এই দ্বিতীয় দফার আলোচনা শুরু হয়, যা বাংলাদেশের জন্য রপ্তানি বাজার রক্ষার কৌশলগত উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।