মাথাব্যথা ছাড়ছে ধরছে, বমি বমিভাব হচ্ছে বা লাগছে পেশিতে টান- এগুলো শারীরিক সমস্যার চাইতে হতে পারে মানসিক কারণে।
হার্ভার্ড হেল্থ পাবলিশিং’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই বিষয়ে জানানো হয়, এর জন্য দায়ি দেহের ‘অটোনোমিক নার্ভাস সিস্টেম’ বা স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুবিক পদ্ধতি, যা শরীরের হৃদগতি, শ্বাসপ্রশ্বাস, প্রাকৃতিক ডাক, য়ৌন আকাঙ্ক্ষা জাগ্রত হওয়ার মতো বিষয়গুলো পরিচালনা করে।
এছাড়া শারীরিকভাবে হুমকির সম্মুখিন হলেও ‘বাঁচো অথবা মার’ প্রতিক্রিয়া সক্রিয় করতেও কাজ করে এই পদ্ধতি; যা আত্মরক্ষা করতে সাহায্য করে।
মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তায় থাকলে এই ব্যবস্থা কার্যকর হয়ে যায়, আর বিভিন্ন রকম শারীরিক লক্ষণে সেগুলো প্রকাশ পায়। যেমন- মাথাব্যথা, বমি বমিভাব, নিঃশ্বাসে সমস্যা, হাত-পা কাঁপা বা পেট-ব্যথা।
শারীরিক সমস্যা থেকে এসব লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকরা অসুস্থতার কারণ খুঁজে বের করতে পারে। তবে মানসিক কারণে হলে কোনো সমস্যা পাওয়া যায় না।
বর্তমান সময়ে এই সমস্যাগুলো বেশিমাত্রায় দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই এগুলো চিহ্নিত করে নিজেকে সারিয়ে তুলতে কয়েকটি বিষয়ের ওপর নজর দিতে হয়।
থামা এবং পর্যবেক্ষণ করা:
প্রথম পদক্ষেপ হল কয়েক মিনিট থেমে নিজেকে পর্যবেক্ষণ করা, কী হচ্ছে শরীরে সেটা বোঝার চেষ্টা করা।
শারীরিক কোনো সমস্যা নাকি মানসিক কারণে হচ্ছে- সেটা আগে নির্ণয় করতে হবে। এমন হতে পারে লক্ষণগুলো কোনো উত্তজনাকর পরিস্থিতির কারণে মানসিক চাপের তৈরি করছে।
পাশাপাশি পেশিতে টান পড়ছে কিনা সেই বিষয়টাও খেয়াল করতে হবে।
নিজেকে অন্যমস্ক করা
যদি বুঝতে পারা যায় শারীরিক নয়, মানসিক কারণে দেহে এই ধরনের সমস্যা হচ্ছে, তাহলে নিজেকে কোনো নাটকীয় ঘটনার মধ্যে ফেলে অন্যমস্ক হওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
হতে পারে সেটা পুরানো ছবি দেখা, কাপড় ধোয়া এমনকি গাছে পানি দেওয়া ঘর পরিষ্কার করার মতো বিষয়।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে একটি কাজ থেকে অন্য কাজে মনোযোগ ফেরানোর মাধ্যমে এই ধরনের সমস্যাগুলো দূর হয়ে যায়, নিজেকে সুস্থ বোধ হতে থাকে।
শরীরকে আরাম দেওয়া
মানসিক চাপ দূর করতে গভীর শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম কার্যকর ভূমিকা রাখে। অথবা করা যেতে পারে শরীর শিথিল করার ব্যায়াম। এছাড়া বাইরে প্রকৃতির মাঝে হাঁটতে যাওয়ার মাধ্যমেও মানসিক উত্তেজনা, দুশ্চিন্তার মাত্রা কমানো যায়।