২০২৪ সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২০৮ জন শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে, ওই পদগুলো খালি রাখার নির্দেশও দিয়েছে আদালত।
আজ রবিবার এক আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
পরে আইনজীবী ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া জানান, সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯ অনুযায়ী শূন্য পদের ভিত্তিতে প্রার্থীদের কেন নিয়োগ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে চার সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের প্রতি রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে, ২০৮টি পদ সংশ্লিষ্ট উপজেলায় সংরক্ষিত রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
এই রিটে প্রাথমিক গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ডিজিসহ তিনজনকে বিবাদী করা হয়েছে।
আইনজীবী সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া আরও জানান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর ২০২৩ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ২১টি জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল। ওই বিজ্ঞপ্তির আলোকে, ২০০৮ জন পিটিশনার রিট দাখিল করেন। তারা রিটেন পরীক্ষা ও ভাইভা অংশে উত্তীর্ণ হন, কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর তাদের নিয়োগের শর্ত মোতাবেক শূন্য পদের বিপরীতে নিয়োগ না দিয়ে কম সংখ্যক প্রার্থী নিয়োগ দেয়। এর ফলে, কোটা থাকা সত্ত্বেও এই পিটিশনাররা নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হন। তাই তারা হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেন। প্রাথমিক শুনানি শেষে, হাইকোর্ট রুল জারি করেছে।
অ্যাডভোকেট সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, একই বিষয়ে হাইকোর্টের আপিল বিভাগের পূর্ববর্তী রায় রয়েছে এবং তিনি আশা প্রকাশ করেন, রুল জারি হওয়ার পর মামলাটি দ্রুত শুনানি হবে এবং তার পিটিশনাররা ন্যায় বিচার পাবেন। ২০৮ জন পিটিশনার এই রিট পিটিশন দাখিল করেছেন, যাদের মধ্যে আছেন এ টি এম আতিকুর রহমান, মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক, মোহাম্মদ আরিফ, সেলিনা খাতুন, মৌরি বেগম ও আবুল বাশারসহ ১৮টি জেলার প্রার্থী।