টুঙ্গিপাড়ায়, গোপালগঞ্জে একটি উত্তেজনাপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে যেখানে আওয়ামী লীগের যুব নেতারা পুলিশকে আক্রমণ করে পত্রিকা বিতরণে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এই সংঘর্ষে মোট আটজন আহত হয়েছেন, যার মধ্যে পাঁচজন পুলিশ সদস্য। পুলিশ গাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করেছে। ঘটনাস্থলে “জয় বাংলা” স্লোগান লেখা একটি ক্যানভাস দেখা গেছে। আওয়ামী লীগের কর্মীরা একটি পুলিশ কর্মকর্তাকে ঘিরে ধরার চেষ্টা করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলাকারীদের শান্ত করেন এবং পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করেন।
এই ঘটনা রবিবার সন্ধ্যায় টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বাংলাদেশ স্কুল ও কলেজের সামনে ঘটে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রবিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ সদস্য সাফায়েত গাজিত টাগিপারাগাম গ্রামে পত্রিকা বিতরণ করছিলেন। পুলিশ এসে সাফায়েতকে আটক করে, তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মীরা সেখানে এসে তাকে মুক্ত করতে চেষ্টা করেন। এরপর তারা পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা স্লোগান দিতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে, ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগ কর্মীরা পুলিশ সদস্যদের উপর হামলা চালান এবং তাদের গাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এই সংঘর্ষের ফলে পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অবস্থান নেওয়ার ঘটনা ঘটে, যার ফলে আটজনের মধ্যে পাঁচজন পুলিশ সদস্য আহত হন। তবে, এ বিষয়ে পুলিশকে বিস্তারিত বা গ্রাফিক তথ্য দেওয়ার জন্য কেউ এখনও এগিয়ে আসেনি। যদিও এলাকায় বর্তমান পরিস্থিতি তুলনামূলকভাবে স্বাভাবিক, সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
টুঙ্গিপাড়া থানার ইনচার্জ খুরশীদ আলম জানান, “এই ঘটনার জন্য একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মামলায় ১৭৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং ৩০০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।” এই ঘটনার মাধ্যমে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সমাজে আইনশৃঙ্খলার অবক্ষয়ের একটি নতুন অধ্যায় উন্মোচিত হয়েছে, এবং এর ফলে মানুষের ক্ষোভ বৃদ্ধি পেয়েছে।