একুশে পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। সাংবাদিকতা ও মানবাধিকারে তার অবদানের জন্য এই সম্মাননা, যা তার দীর্ঘ ও সংগ্রামী পথচলার একটি উজ্জ্বল স্বীকৃতি।
বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, যখন সংবাদটি প্রকাশিত হলো, তখন জানা গেল, ২০২৫ সালে মোট ১৫ জন বিশিষ্ট নাগরিককে এই সম্মাননা দেওয়া হবে। মনোনীতদের তালিকা সত্যিই বিস্তৃত এবং বৈচিত্র্যময়। চলচ্চিত্রের জগতে আজিজুর রহমান (মরণোত্তর) এবং সংগীতের আকাশে উস্তাদ নীরদ বরণ বড়ুয়া (মরণোত্তর) ও ফেরদৌস আরার নাম উজ্জ্বল। আলোকচিত্রের ক্ষেত্রে নাসির আলী মামুন, চিত্রকলায় রোকেয়া সুলতানা (মরণোত্তর)—এরা সবাই তাদের শিল্পের মাধ্যমে সমাজে এক নতুন দিগন্তের সূচনা করেছেন।
সাংবাদিকতায় মাহফুজ উল্লা (মরণোত্তর) এবং মানবাধিকারে মাহমুদুর রহমানের নাম উল্লেখযোগ্য। তাদের কাজের মাধ্যমে সত্যের সন্ধান এবং ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা হয়েছে। সংস্কৃতি ও শিক্ষায় ড. শহীদুল আলম, শিক্ষায় ড. নিয়াজ জামান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মেহেদী হাসান খান (অভ্রর জনক)—এরা সবাই নিজেদের ক্ষেত্রে অসাধারণ অবদান রেখেছেন।
সমাজসেবায় মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী (মরণোত্তর) এবং ভাষা ও সাহিত্যে হেলাল হাফিজ (মরণোত্তর) ও শহীদুল জহির (মো. শহীদুল হক) (মরণোত্তর)—এদের অবদানও অনস্বীকার্য। গবেষণায় মঈদুল হাসানও এই তালিকায় স্থান পেয়েছেন, যা আমাদের গবেষণার জগতে নতুন দিগন্তের সূচনা করে।
এছাড়া, ক্রীড়ায় বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলকে মনোনীত করা হয়েছে, যা দেশের ক্রীড়াঙ্গনে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে। এই সম্মাননা শুধুমাত্র ব্যক্তিগত অর্জন নয়, বরং একটি জাতির সাংস্কৃতিক ও মানবিক মূল্যবোধের প্রতীক—একটি নতুন আশা, একটি নতুন স্বপ্ন।