শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, থেকে শুরু হয়েছে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’। এই অভিযানের আওতায়, রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পর্যন্ত সারাদেশে পুলিশের বিভিন্ন কার্যক্রমে মোট ১,৩০৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ সদরদপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর রোববার সন্ধ্যায় এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
“গতকাল রাত থেকে আজ দুপুর পর্যন্ত ১,৩০৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে,” বলেন তিনি, “এই গ্রেপ্তারির মধ্যে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’সহ পুলিশের বিভিন্ন অভিযানের ফলস্বরূপ এই সংখ্যা এসেছে।” উল্লেখযোগ্যভাবে, দেশের সব মেট্রোপলিটন পুলিশ ২৭৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে, অন্যদিকে সারাদেশের রেঞ্জ পুলিশ ১,০৩৪ জনকে আটক করেছে।
এদিকে, ‘ডেভিল হান্ট’ শব্দটির অর্থ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ইংরেজি ‘ডেভিল’ মানে শয়তান এবং ‘হান্ট’ মানে শিকার। ফলে, ‘ডেভিল হান্ট’ বলতে বোঝায় শয়তানের শিকার। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষিত এই অভিযানের উদ্দেশ্য হলো দেশবিরোধী চক্র, সন্ত্রাসী এবং দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
এই অভিযানের মাধ্যমে, সরকার একটি শক্তিশালী বার্তা দিতে চায় যে, অপরাধ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান দৃঢ়। তবে, প্রশ্ন উঠছে—এই অভিযান কি সত্যিই দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি উন্নত করবে, নাকি এটি শুধুমাত্র একটি সাময়িক পদক্ষেপ?
অপারেশন ডেভিল হান্টের ফলাফল এবং এর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব নিয়ে আলোচনা চলছেই। পুলিশি অভিযানগুলো কি সত্যিই অপরাধীদের শিকারে সফল হবে, নাকি এটি কেবল একটি রাজনৈতিক কৌশল? সময়ই বলবে।