রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলার বিচার আগামী জানুয়ারির মধ্যেই শেষ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে প্রসিকিউশন। সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল চত্বরে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম। তিনি জানান, মামলায় ১২ নম্বর সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে এবং আরও ৩০-৩৫ জনের জবানবন্দির মধ্য দিয়েই সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করার লক্ষ্য রয়েছে। এ দিন ট্রাইব্যুনালে রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আকিব রেজা খান ১২ নম্বর সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন। তিনি জানান, হত্যাকাণ্ডের সময় আহত আবু সাঈদকে হাসপাতালে পাঠানোর জন্য রিকশায় তুলে দিয়েছিলেন তিনি নিজেই। সাক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা ও পুলিশের নির্লিপ্ততাকেই দায়ী করেন তিনি। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং পুলিশের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নাম উল্লেখ করেন তিনি। মামলার বিচারকাজ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের প্যানেল পরিচালনা করছেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে জেরা চলমান রয়েছে এবং বিরতি শেষে আবার কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানা গেছে। প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এদিন জানান, সাক্ষী উপস্থিত না হওয়ার কারণে কয়েক দফা সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে গেলেও সেটি মামলার স্বাভাবিক ধারার বাইরে কিছু নয়। দ্রুত সময়ের মধ্যেই সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন। উল্লেখ্য, এ মামলায় ৩০ জন আসামির বিরুদ্ধে বিচার চললেও সাবেক ভিসিসহ ২৪ জন এখনো পলাতক। তাদের পক্ষে সরকারি খরচে আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয় গত ২৭ আগস্ট। এ হত্যাকাণ্ডের বিচার শেষ হওয়ার মধ্য দিয়ে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম শহীদের জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।