বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৫৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা চূড়ান্ত করে প্রজ্ঞাপন ফেরারি আসামি নির্বাচনে অযোগ্য, ‘না ভোট’ বাধ্যতামূলক!! “ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে উৎসবমুখর পরিবেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে “ বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র: ‘আমরা কোনো দলের নয়’ — স্পষ্ট বার্তা দিলেন ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন বিজয়নগরে জাপা কার্যালয়ে সংঘর্ষ : ইটপাটকেল নিক্ষেপে আহত বহু, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা-পুলিশ আগামীকাল প্রকাশিত হবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চূড়ান্ত রোডম্যাপ পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বিএনপির বৈঠক ১৩ বছর পর উপদেষ্টা মাহফুজের বাবা ইউনিয়ন বিএনপির সম্পাদক ভারতের মাটিতে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড বন্ধের দাবি বিদেশে বাংলাদেশি মিশন থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর নির্দেশ, ‘জিরো পোর্ট্রেট’ নীতি কার্যকর

গাজাবাসী প্রথম রোজার সেহরি ঠিক মতো খেতে পারেননি

bornomalanews
  • Update Time : শনিবার, ১ মার্চ, ২০২৫
  • ১২১ Time View

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায়, যখন পবিত্র রমজান শুরু হয় শুক্রবার, তখন রাতের প্রথম সেহরি খাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল সাধারণ মানুষ। তবে, গাজাবাসী জানতেন, প্রকৃতির অভিশাপ কখনোই ছেড়ে যায় না। ঠাণ্ডা আবহাওয়া এবং বৃষ্টির কারণে তাদের সেহরি গ্রহণ করা কঠিন হয়ে পড়েছিল। বার্তাসংস্থা আনাদোলোর প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, রমজানের প্রথম রাতটি ছিল ভীষণ দুর্ভোগময়। ঠিক যখন গাজাবাসী সেহরি প্রস্তুতির জন্য উঠে বসেছিলেন, তখনই তাদের শাস্তি শুরু হয়—বৃষ্টি! তাদের অস্থায়ী তাঁবুগুলোর ভেতর পানি ঢুকে যায়, এবং তাদের ব্যক্তিগত জিনিসপত্র ভিজে যেতে থাকে।

তবে, বৃষ্টির পানি থেকে বাঁচতে তাঁবু থেকে বেরিয়ে অন্য কোথাও আশ্রয় নেওয়ার মতো কোনো জায়গা ছিল না। এ অবস্থায়, বিশেষ করে নারী ও শিশুদের কষ্ট ছিল অনস্বীকার্য। তাঁবুতে, যেখানে একপাশে গরম খাবারের অপেক্ষা, অন্যপাশে ছিল খালি পেটে, তারা একে অপরকে সান্ত্বনা দিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু প্রকৃতির কাছে তাদের কিছুই ছিল না—কেবল ভেজা কাপড়, মাটি, এবং অনিশ্চয়তা।

আর যারা তাদের বিধ্বস্ত বাড়িঘরে ফিরে গেছেন, তাদের অবস্থাও ছিল যন্ত্রণাদায়ক। ভাঙা দেয়াল এবং ছাদের ফাটল দিয়ে বৃষ্টির পানি প্রবাহিত হয়ে তাদের রাতকে আরো অস্বস্তিকর করে তুলেছিল। শান্তির জন্য হয়তো আশা ছিল, কিন্তু শান্তির চেয়ে বড় ছিল তাদের সংগ্রাম—অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রাম।

১৯ জানুয়ারির যুদ্ধবিরতির পর, ইসরাইল এবং হামাসের মধ্যে কিছুটা স্থিতি এসেছিল। তবে চুক্তি অনুযায়ী, গাজায় যেসব অস্থায়ী বাড়ি প্রবেশ করার কথা ছিল, তা ইহুদিবাদী ইসরাইলের পক্ষ থেকে পূর্ণ করা হয়নি। ফলে, সাধারণ মানুষ এখনো অস্থায়ী তাঁবুতে জীবনযাপন করতে বাধ্য। এবং সেই তাঁবুগুলির দুর্বলতার কারণে, একটু বৃষ্টি এলেই পুরো পরিস্থিতি তলিয়ে যেতে থাকে—তাদের দুঃখ যেন একটানা গতি নিয়ে এগিয়ে চলে।

যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে গাজায় ইসরাইলের গণহত্যা থামলেও, সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কমেনি। তথাপি, তারা যে সামান্য কিছু দিয়েই নিজেদের রমজান পালন করতে প্রস্তুত হয়েছিলেন, তা বৃষ্টির কারণে আবারও ম্লান হয়ে যায়। তারা যে চেয়েছিল—এ মাসের প্রথম সেহরির আনন্দ—তাও স্রষ্টার রহমত ছাড়া অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। আর একদিকে, ইসরাইলের অবরোধের কারণে, গাজাবাসী প্রয়োজনীয় খাবারও ঠিকমতো পাচ্ছে না। এ এক চিরস্থায়ী সংকট, যেখানে চাহিদা ও উপায়—দুটোই সীমাবদ্ধ।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2025 bornomalanews24.com
themesba-lates1749691102