কানাডার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন সাবেক কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নর, মার্ক কার্নি, যিনি শুক্রবার সকালে মন্ত্রীসভার সদস্যদের নিয়ে শপথ গ্রহণ করবেন। এই ঘোষণা এসেছে কানাডার গভর্নর জেনারেলের কার্যালয় থেকে, বুধবার। এএফপি’র মাধ্যমে অটোয়ায় পৌঁছানো খবর অনুসারে, কার্নি, যিনি গত জানুয়ারিতে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন, কানাডায় ‘নিরবচ্ছিন্ন এবং দ্রুত’ পরিবর্তন আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
৫৯ বছর বয়সী মার্ক কার্নি রাজনীতিতে নতুন মুখ। মাত্র গত রোববার, কানাডার ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টির নেতা হিসেবে নির্বাচিত হয়ে, তিনি দেড় লাখ সদস্যের মধ্যে ৮৬ শতাংশ ভোট পেয়ে বিশাল জয় লাভ করেছেন। তবে তাঁর পথচলা এখানে শেষ নয়। এর আগে, ব্যাংক অব কানাডা এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন, এবং এখন তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশের শাসনভার গ্রহণ করতে যাচ্ছেন—এমন এক সময়ে, যখন কানাডা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য নিয়ে অস্থিরতার মধ্যে রয়েছে।
কার্নির নির্বাচনী ভাষণে, তিনি সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন, “হকির মত বাণিজ্যেও জয়ী হবে কানাডা!” এর পরেই তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন, “অর্থনৈতিক চাপ এড়াতে, আমি প্রস্তুত আছি এক নতুন বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে।” এই কথা বলেছেন তিনি, এমন সময়ে যখন ট্রাম্প প্রশাসন, যুক্তরাষ্ট্রে সব ধরনের ইস্পাত এবং অ্যালুমিনিয়াম আমদানি উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে, এবং এর পাল্টা হিসেবে কানাডাও পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে।
এমন এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে, যখন একদিকে মার্কিন শুল্ক আরোপ ও অন্যদিকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ভবিষ্যত প্রশ্নবিদ্ধ, কার্নি দেশটির শাসনভার নিয়ে কতটা পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবেন, তা দেখার বিষয়।