বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অংশ হিসেবে শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে গণশুনানির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা। শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া চত্বরে অনুষ্ঠিত এই বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা তাদের ক্ষোভ ও দাবি তুলে ধরেন। কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদ শহীদ হয়েছেন এবং এ মামলার মূল আসামিরা এখনও পলাতক রয়েছে। তারা অভিযোগ করেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর ঢাকায় বসে তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করেছেন, কিন্তু আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডে জড়িত পুলিশ সদস্যরা বহাল তবিয়তে রয়েছেন। বক্তারা দাবি করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্তরা সাজা পাচ্ছেন, অথচ প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। তারা বলেন, “আমরা চাই এ মামলায় যার যতটুকু অপরাধ, তাকে ততটুকু সাজা দেওয়া হোক। কেউ যেন লঘু অপরাধে গুরুদণ্ড না পায়।” শিক্ষার্থীরা সাবেক প্রক্টরকে আবু সাঈদ হত্যা মামলার ইন্ধনদাতা ও পরিকল্পনাকারী হিসেবে উল্লেখ করেন এবং গ্রেফতার হওয়া ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী আকাশকে বেরোবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে চার্জশিটে উল্লেখ করার বিষয়টি তুলে ধরেন। তারা বলেন, “এ থেকে বোঝা যায়, এ মামলার সুষ্ঠু তদন্ত হয়নি। ট্রাইব্যুনাল তড়িঘড়ি করে বিশ্বকে দেখাতে চাচ্ছে তারা আবু সাঈদ হত্যার বিচার করছে।” আন্দোলনকারীরা দ্রুত আবু সাঈদ হত্যা মামলার গণশুনানির দাবি জানান। এ সময় বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কানিজ ফাতেমা, খাদিজা আক্তার, নুরুন্নবী আফরিন প্রমুখ। শিক্ষার্থীদের এই অবস্থান কর্মসূচি তাদের ন্যায্য দাবির প্রতি সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সহায়তা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।