যুদ্ধবিরতি চুক্তি উপেক্ষা করে গাজায় আবারো ব্যাপক হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। এতে ১২ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন শতাধিক ফিলিস্তিনি, যাদের মধ্যে ৩৫ জন শিশু রয়েছে। এ ঘটনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষিত মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনার ভবিষ্যৎ নিয়েও নতুন করে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। গাজার সিভিল ডিফেন্স মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান গাজার কেন্দ্রীয় অঞ্চল, উত্তরাঞ্চল এবং রাফার দক্ষিণ অংশে ধারাবাহিকভাবে বেসামরিকদের ওপর বোমাবর্ষণ করে যাচ্ছে। বাসাল বলেন, এই হামলা ছিল রোমহর্ষক ও গণহত্যামূলক, যার মূল লক্ষ্য ছিল সাধারণ মানুষ। নিহতদের মধ্যে বহু নারী ও শিশু রয়েছে। তিনি জানান, ইসরায়েলি বাহিনীর এসব মানবতাবিরোধী অপরাধের তথ্য রেকর্ড করা হচ্ছে। ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজা সিটি, খান ইউনিস, মধ্যাঞ্চলীয় শরণার্থী শিবির, সাধারণ বাড়িঘর, তাঁবু এবং হাসপাতালও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চিকিৎসাকর্মীরা সতর্ক করেছেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে, কারণ অনেকেই গুরুতর আহত এবং অনেকে এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে রয়েছেন। এদিকে, হামলার পরও ইসরায়েল দাবি করছে তারা যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে চলছে। কিন্তু গাজার সিভিল ডিফেন্স ইসরায়েলকে দ্রুত যুদ্ধবিরতি মানার আহ্বান জানিয়েছে এবং মানবিক করিডোর চালুর মাধ্যমে জরুরি ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তা নিশ্চিত করার দাবি তুলেছে। একই সঙ্গে গাজা পুনর্গঠনের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক মেডিকেল টিম পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। এই হামলা এবং মানবিক বিপর্যয়ের মাঝে যুদ্ধবিরতি ও শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রয়াস আবারও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠেছে।