শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৩৮ পূর্বাহ্ন

চার কৌশল ক্লান্তি দূরে রাখার

bornomalanews
  • Update Time : সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ১৫ Time View

কর্মব্যস্ত দিন শেষে ক্লান্তি কাজ করা স্বাভাবিক। তবে দিনের মধ্যভাগেই যদি মনে হয় দেহ আর চলছে না তবে সাধারণ কয়েকটি পন্থায় শক্তি বজায় রাখা যায়।

কোনো অসুখ ছাড়া সুস্থ দেহের মানুষের অবসাদ কাজ করার নানান কারণ থাকতে পারে। অনেকেই আছেন শশব্যস্ত হয়ে কাজ করতে পারেন। অনেকে আবার ধীরে সুস্থে কাজ শেষ করতে পছন্দ করেন।

হার্ভার্ড হেল্থ পাবলিশিংয়’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয় – যারা অতি দ্রুত কাজ করার কথা চিন্তা করেন তাদের ক্লান্তি কাজ করতে পারে দ্রুত। কারণ একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সব কাজ শেষ করতে গিয়ে দেহের শক্তি সহজেই নিঃশেষ হয়ে যায়।

তাই নিজের ‘ব্যাটারি রিজার্চ’ করতে সহজ চারটি পন্থা অনুসরণ করলে উপকারী ভূমিকা রাখতে পারে।

সময় ভাগ করা: কেউ কেউ আছেন একের পর এক কাজ করেই যেতে থাকেন। এটা হয়ত ভালো দিক। তবে নিজের শক্তির ওপর এভাবে ঝুঁকি নেওয়ার চাইতে সারা দিনে কাজের ভাগ ছড়িয়ে দেওয়া ‍ভালো।

যেমন- দুই ঘণ্টার মধ্যে সব শক্তি খরচ না করে সকালে, দুপুরে আর বিকাল- এভাবে তিনভাগে কাজগুলো সারার জন্য ভাগ করে নিতে হবে। আর মাঝের সময়গুলোতে নিতে হবে বিশ্রাম।

হাঁটা নয়ত স্বল্প ঘুম: ক্লান্তিতে ‘পাওয়ার ন্যাপ’ নেওয়া ভালো অভ্যাস। তবে রাতে ঘুমাতে যাদের সমস্যা হয় তাদের জন্য নয়।

তাই কাজের ফাঁকে আশপাশে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করলে উদ্যোম ফিরে পাওয়া যায়। আর রাতে ঘুমের সমস্যা না থাকলে ২০ থেকে ৩০ মিনিটের স্বল্প মাত্রা ঘুম হবে শক্তি ফিরে পাওয়ার ভালো উপায়।

সাপ্লিমেন্টস পরিহার করা: অনেকেই আছেন নিজে নিজেই বিভিন্ন ধরনের মাল্টিভিটামিন ট্যাবলেট বা ‘সাপ্লিমেন্ট’ গ্রহণ করেন। অনেক সময় এগুলো উল্টো ফলের কারণ হয়।

  • ডিহাইড্রোয়েপিয়ানড্রোস্টেরন (ডিএইচইএ): এটা এক ধরনের হরমোন বৃদ্ধির অসুধ। তবে তেমন কোনো উপকার করে না। উল্টো ক্লান্তি বাড়াতে পারে।
  • লৌহ: দেহে লৌহের ঘাটতি হলে ক্লান্ত লাগবে। আর সেটা চিকিৎসক রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমেই নিশ্চিত হয়ে সিদ্ধান্ত দিতে পারেন। না হলে ‘আয়রন’ বা লৌহের বড়ি গ্রহণ করলে অতিরিক্ততার কারণে ক্ষতি হতে পারে।
  • বি ভিটামিনস: খাবার ভেঙে শক্তিতে রূপান্তর করতে বি ভিটামিন (বি- ওয়ান, টু, সিক্স, টুয়েল্ভ) কাজে লাগে। তারমানে এই নয় বি ভিটামিন আলাদা করে খেলে শরীরে শক্তি বৃদ্ধি পাবে।

বিচক্ষণতার সাথে খাবার গ্রহণ: খিদা পেলে চিনি দেওয়া বা মিষ্টি খাবার গ্রহণ করলে প্রচুর ক্যালরি শরীরে ঢোকে। তবে এই ধরনের খাবার দ্রুত হজম হয়ে যায়, রক্তে শর্করার মাত্রা তাড়াতাড়ি বেড়ে আবার কমে যায়, ফলে অবসাদ কাজ করে।

দেহে শক্তির মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে চর্বিহীন প্রোটিনের সাথে অপ্রক্রিয়াজাত কার্বোহাইড্রেইট খেতে হবে। এক্ষেত্রে দইয়ের সাথে বাদাম, কিশমিশ এবং মধু খাওয়া উপকারী। কার্ব-আঁশ-প্রোটিনের মিশ্রণে খাবার খেলে ধীরে হয়।

আর কোনো বেলার খাবার এড়ানো উচিত না। শরীরে সারাদিন ধরে নির্দিষ্ট মাত্রার ক্যালরির প্রয়োজন হয়। তাই এক বেলায় বেশি না খেয়ে সারা বেলায় অল্প অল্প করে খাবার খেতে হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024 bornomalanews24.com
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102