বিপিএলের প্লেয়ার ড্রাফট শেষ হলো। পুরনো ক্রিকেটারদের ধরে রাখা, সরাসরি চুক্তি ও ড্রাফটের মাধ্যমে পছন্দের খেলোয়াড় বেছে নিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। এবারের বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফটে দেশি খেলোয়াড়দের জন্য ছয়টি ও বিদেশি খেলোয়াড়দের জন্য পাঁচটি ক্যাটাগরি ছিল। দেশি ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৪ কোটি টাকা ও বিদেশি ক্রিকেটারদের কিনতে ৩ কোটি টাকা খরচের সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে।দলগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ খরচ করেছে বিপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল এবং কম খরচ করেছে বিগ বাজেটের রংপুর রাইডার্স।বিপিএলর বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল সবমিলিয়ে প্রায় ৫ কোটি ৪৮ লাখ টাকা খরচ করেছে। ফ্র্যাঞ্চাইজিটি ড্রাফট থেকে তারা দলে ভিড়িয়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, নাজমুল হোসেন শান্ত, রিশাদ হোসেনদের সাথে বিদেশিদের মধ্যে পাথুম নিশাঙ্কা ও জেমস ফুলারদের। বরিশালের পরে খরচে এগিয়ে ছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স।তারা খরচ করেছে ৩ কোটি ২৬ লাখ টাকা। তারা দলে ভিড়িয়েছে মাশরাফি, রনি তালুকদারদের সাথে বিদেশি খেলোয়াড় ক্যাটাগরিতে রিস টপলি, রাহকিম কর্নওয়ালদের।
খরচের দিক থেকে এরপরে রয়েছে খুলনা টাইগার্স। নাঈম শেখ, লুইস গ্রেগরি, ইমরুল কায়েসদের দলে টানতে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি খরচ করেছে প্রায় ৩ কোটি ২৪ লাখ টাকা। ৯ বছর পর আবারও বিপিএলে ফেরা চিটাগং কিংস দেশি বিদেশি খেলোয়াড় টানতে দলটি খরচ করেছে প্রায় ২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। তারা দলে নিয়েছে সাকিব আল হাসান ও মঈন আলিদের মতো তারকাদের।
জিসান আলম, আকবর আলীদের নিয়ে দল গড়তে রাজশাহী খরচ করেছে প্রায় ২ কোটি ৬১ লাখ টাকা। আরেক নবাগত দল ঢাকা ক্যাপিটালস ড্রাফট থেকে দলে নিয়েছে লিটন দাস, হাবিবুর রহমান সোহান, সাইম আইয়ুবদের। তাদের খরচ হয়েছে প্রায় ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা।বিগ বাজেটের রংপুর রাইডার্স এবার সবচেয়ে কম খরচ করেছে। কম বিনিয়োগ করেও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, ইফতেখার আহমেদ, আলেক্স হেলস, মোহাম্মদ নবিদের মতো দেশি বিদেশি বড় তারকাদের নিয়ে শক্তিশালী দল গঠন করেছে তারা। তাদের খরচ হয়েছে প্রায় ২ কোটি ১২ লাখ টাকা।