অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় এসে হজের খরচ কমিয়ে আনার ঘোষণা দেওয়ার পর কতটা কমানো যায়, সে চেষ্টা চলছে।
এই চেষ্টার অংশ হিসেবে ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হাসান সৌদি আরবে গিয়ে সে দেশের সরকারের সঙ্গে দেন দরবার করেছেন। বাংলাদেশেও ধর্ম ও বেসামরিক বিমান মন্ত্রণালয় চেষ্টা করছে কোন খাত থেকে কত টাকা কমানো যায়।
ধর্ম সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পুরো বিষয়টা সৌদি আরবের ওপর নির্ভর করবে। তবে একটা ‘ভালো অ্যামাউন্ট’ কমবে।
করোনাভাইরাস মহামারী শেষে সারা বিশ্বে বিমান ভাড়া লাফ দেওয়ার পাশাপাশি সৌদি সরকারের খরচ বৃদ্ধি, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক অনেক কিছুর দাম বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ থেকে হজের খরচও দেয় লাফ।
খরচ এতটাই বেড়ে গেছে যে, বাংলাদেশ থেকে যত যাত্রীর হজ করার অনুমতি আছে, গত দুই বছর সেই পরিমাণ যাত্রী যায়নি। নিবন্ধন করেও না যাওয়ার পেছনে কারণ হিসেবে অর্থের চাপের কথাই জানিয়েছেন অনেকে।
২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজ ধরা হয় ছয় লাখ ৮৩ হাজার টাকা। বেসরকারি প্যাকেজে খরচের সর্বনিম্ন খরচ ছিল ছয় লাখ ৭২ হাজার টাকা।
এ নিয়ে তুমুল আলোচনার মধ্যে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার ২০২৪ সালে খরচ অনেকটাই কমিয়ে আনে। এক লাখ চার হাজার টাকা কমিয়ে সরকারি প্যাকেজে সর্বনিম্ন মূল্য পাঁচ লাখ ৭৯ হাজার টাকা এবং বেসরকারি প্যাকেজে সর্বনিম্ন পাঁচ লাখ ৯০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়।
গত ৫ অগাস্ট তীব্র গণ আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর যে অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেয়, তারা খরচ আরও কমানোর কথা বলে।
গত ২৯ অগাস্ট উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা সৈয়দ রিজওয়ানা হাসান সাংবাদিকদেরকে বলেন, “হজের মত পবিত্র কাজেও একটি সিন্ডিকেট দেখতে পাই। তারা কারসাজি করে হজের প্যাকেজ মূল্য বাড়িয়ে তোলে। হজের যে খরচ, সেটি যৌক্তিক পর্যায়ে কমিয়ে আনা যায় সেজন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কাজ শুরু করেছ। কত হতে পারে কত কমানো যেতে পারে সেই আলোচনা হয়েছে। তবে বর্তমান প্যাকেজ যে অনেক বেশি, সেই প্যাকেজ কমিয়ে আনা সম্ভব সেই প্রাথমিক আলোচনা সেটি হয়েছে।”
বাংলাদেশের ‘হাতে’ বিমানের ভাড়া
হজ প্যাকেজের খরচ বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে, বাড়িভাড়া ও উড়োজাহাজের টিকেটের হজ প্যাকেজের একটি বড় অংশ খরচ হয়।
২০২৪ সালে উড়োজাহাজ ভাড়া ছিল এক লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা, তার আগের বছর এক লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৭ টাকা।
২০২২ সালে বিমান ভাড়া ছিল ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা।
ধর্ম সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার বলছেন, বাংলাদেশের হাতে আছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ভাড়া।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “ভাড়া কমানোর বিষয়ে আমরা এরই মধ্যে বিমানের সঙ্গে বৈঠক করেছি। ২২ তারিখ (অক্টোবর) আবার বৈঠকে বসব। আশা করি ভাড়া আমরা কমাতে পারব।
“এতদিন বিমানের ভাড়া নিয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে আমরা প্রতিবাদ করেছিলাম। কিছুতেই কাজ হচ্ছিল না। এবারে একটা সুযোগ আছে। আমরা বিমান ভাড়া কমানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।”
ভাড়া কতটা কমানো যাবে আর তাতে হজ প্যাকেজের মূল্যই বা কত কমবে- এই প্রশ্নে তিনি বলেন, “সেটা আগাম আসলে বলা যাবে না। তবে, আশা করি একটা ভালো অ্যামাউন্ট কমবে। ৩০ অক্টোবরের মধ্যে আমরা হজের প্যাকেজ ঘোষণা করব।”
বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি হজযাত্রী পরিবহন করে থাকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এর বাইরে সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স, একই দেশের ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স যাত্রী পরিবহন করে। এই দুটি বিমান সংস্থার ভাড়া বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে নির্ধারণ করা সম্ভব নয়।
সারা বছরের তুলনায় হজের মৌসুমে ভাড়া থাকে বেশি। কারণ, এ সময় ডেডিকেটেড ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়।
এখন ওমরাহ করতে যারা সৌদি আরব যাচ্ছেন, তাদের মধ্যে ইকোনমি ক্লাসের যাত্রীরা গড়ে ৭৫ হাজার টাকার মধ্যে আসা-যাওয়া করতে পারছেন। তবে হজ মৌসুমে এই ভাড়া বেড়ে দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে যায়।
বাংলাদেশে থেকে হজ যাত্রী বহন করা ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর সংগঠন হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সিনিয়র সহ সভাপতি ইয়াকুব শরাফতী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা আগেও বহুবার বলেছিলাম- বিমানভাড়া ‘যৌক্তিক’ করা উচিত; যাতে মানুষ ইবাদতটা সহজে করতে পারে৷”
প্রায় একইরকম কথা বলেছেন হাবের সাবেক সহ-সভাপতি আফতাব ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরের স্বত্বাধিকারী আফতাব উদ্দিন চৌধুরীও।
বিমান ভাড়া অতিরিক্ত দাবি করে তিনি বলেন, “২০২৩ সালে ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স আসার পর থেকে ভাড়া ১ লাখ ৪০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ২ লাখ টাকা করা হল। ৬০ হাজার টাকা বেড়ে গেল।”
হাবের সাবেক সহ-সভাপতি আফতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “এই মুহূর্তে ওমরাহর ভাড়া প্রায় ৭৫ হাজার টাকা। যদি বলেন, হজের সময় ডেডিকেটেড ফ্লাইট আসে, তাহলে তো দ্বিগুণ হিসেবে দেড় লাখ টাকা হতে পারে। এর উপরে যাওয়ার তো কোনোভাবেই সুযোগ নাই। তার মানে যাতায়াত ভাড়া ৫০ হাজার টাকা এখনও কমানোর সুযোগ আছে।”
যে খরচ বাংলাদেশের হাতে নেই
হজের আরেকটি বড় খরচ যায় মক্কা ও মদিনায় বাড়ি ভাড়ায়। এই খাতে ২০২৩ সালে হজ যাত্রীদের ২ লাখ ৪ হাজার ৪৪৫ টাকা ব্যয় করতে হয়েছিল।
২০২২ থেকে এই খরচ লাফ দেয়, যাতায়াত ভাড়ার পাশাপাশি যেটি হজ প্যাকেজের অঙ্ক বাড়িয়ে দেয় অনেকটাই।
হাবের সাবেক সহ-সভাপতি আফতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সৌদি আরবে আগে এই খরচ হত ৪৫ হাজার টাকার মধ্যে, ২০২২ সালে সেটি বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা। পরের বছর হয় ১ লাখ ৬০ হাজার, ২০২৪ সালে কিছুটা কমে দাঁড়ায় দেড় লাখে।
হাবের এই সাবেক নেতা বলেন, “এই খরচ বাড়িয়ে কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। আগে যে সুবিধা ছিল, ঠিক একই আছে। সে সময় আমাদের মন্ত্রণালয় বা হাব থেকে সৌদি কর্তৃপক্ষকে বোঝানোর চেষ্টা করা হয় নাই।”
মিনা-আরাফায় তাঁবু, ম্যাট্রেস, বিছানা, চাদর, বালিশ কম্বল, খাবার সরবরাহে মোয়াল্লেম সেবার সার্ভিস চার্জ, পরিবহন ব্যয়, ভিসা ফি, স্বাস্থ্য বীমা, গ্রাউন্ড সার্ভিস ক্যাম্প ফি মিলেও আরও অর্থ দিতে হয়।
এর বাইরে থাকে এজেন্সিগুলোর ফি, খাওয়া দাওয়া আর গাইডসহ অন্যান্য সেবা।
এই খরচ নির্ধারণ করে সৌদি সরকার, যেখানে বাংলাদেশের আসলে অনুরোধ করা ছাড়া কোনো কিছু করার থাকে না।
ধর্ম সচিব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা সৌদি মন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেছি। যেভাবেই হোক, খরচটা আমরা কমিয়ে আনব।”
সৌদি আরব এখনও খরচের অঙ্ক জানায়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, “২৪ বা ২৫ তারিখে (অক্টোবর) রেটটা পাব আশা করি। পেলেই আমরা প্যাকেজ ঘোষণা করে দেব।”
এবার ‘দুই ধরনের প্যাকেজ’
মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ বছর হজের দুটি প্যাকেজ ঘোষণা করা হতে পারে। এর মধ্যে একটি প্যাকেজ মসজিদুল হারামের আশপাশের দেড় কিলোমিটারের মধ্যে বাড়িসহ একটি। এর মূল্য একটু বেশি হতে পারে।
“অন্যটি হবে ‘আজিজিয়া প্যাকেজ’। এর অধীনে মক্কা থেকে দুই-তিন কিলোমিটার দূরে আজিজিয়ায় হাজিদের রাখা হবে। সেখান থেকে মসজিদে হারামে যাতায়াতের জন্য বাস বা যানবাহন থাকবে। মক্কা থেকে কিছুটা দূরে হওয়ায় এই প্যাকেজের বাড়ি ভাড়া কম। ফলে, প্যাকেজমূল্যও কম হবে।”
ধর্ম মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে বলছে, সাধারণ প্যাকেজে বাড়ি বা হোটেলে এক কক্ষে সর্বোচ্চ ৬ জন থাকবেন। তবে বাড়তি অর্থ পরিশোধ করে দুই শয্যার কক্ষও নেওয়া যাবে।
খরচ কমবে আশায় আবুল হোসেন
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার আবুল হোসেন। ষাটোর্ধ্ব এই মানুষটি বহু বছর ধরেই টাকা জমাচ্ছেন হজে যাবেন বলে। কিন্তু যে খরচ, তা তার সামর্থ্যের বাইরে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “২০২৩ সালে আমি হজে যেতে চেয়েছিলাম। আমি সব মিলিয়ে সাড়ে ৪ লাখ টাকার কাছাকাছি জোগাড় করেছিলাম। কিন্তু খরচ আরও অন্তত ১ লাখ টাকা বেশি হওয়ায় যেতে পারলাম না।
“আমি অত কিছু বুঝি না। আমার স্বপ্ন ছিল আল্লাহর ঘর কাবা ছোঁয়ার। সেটা হল না। এইটুকুই জীবনে চাওয়া। যদি একবার যেতে পারতাম!”
বিগত কয়েকবছর ধরেই বেশ কয়েক দফায় সময় বাড়িয়েও হজের কোটা পূরণ হয়নি। ২০২৫ সালে বাংলাদেশ থেকে হজের কোটা ২৪ সালের মতই এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন রেখেছে সৌদি আরব।
গত বছর বাংলাদেশ থেকে মোট হজযাত্রী ছিল ৮৫ হাজার ২৫৭ জন যা অনুমোদিত সংখ্যার চেয়ে ৩৫ শতাংশ কম।
প্রাথমিক নিবন্ধনে সাড়া কম
২০২৫ সালের জন্য হজের প্রাথমিক নিবন্ধন চলছে। গত ২৫ অগাস্ট এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ধর্ম মন্ত্রণালয় বলেছিল, ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এই নিবন্ধন চলবে। পরে ১৩ অক্টোবর আরেক বিজ্ঞপ্তিতে নিবন্ধনের সময়সীমা কমিয়ে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত বেঁধে দেওয়া হয়।
সময় কমিয়ে আনার ব্যাখ্যায় মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দীক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আগামী ২৩ অক্টোবরের মধ্যে হজের নিবন্ধন না করলে মিনা ও আরাফাতের ময়দানে কাঙ্ক্ষিত জোনে তাঁবু বরাদ্দ পাওয়া যাবে না। এতে জামারা থেকে অনেক দূরে, পাহাড়ি এলাকায় ও নিউ মিনা এলাকায় অবস্থান করতে হবে।
“এর ফলে হজযাত্রীদের সৌদি আরবে প্রখর রোদ ও গরমের মধ্যে দীর্ঘপথ হাঁটার কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হতে পারে।”
তবে, মন্ত্রণালয়ের এমন সতর্কতার পরও প্রাথমিক নিবন্ধনে কাঙ্ক্ষিত সাড়া মিলছে না।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ পোর্টালের তথ্যানুযায়ী, সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সরকারি মাধ্যমে ২ হাজার ৫৭৭ জন এবং বেসরকারি মাধ্যমে ৬১ হাজার ৭০১ জন ২০২৫ সালের হজের জন্য প্রাক নিবন্ধন করেছেন।
এই সময়ে প্রাক নিবন্ধিতদের মধ্যে সরকারিভাবে ১ হাজার ৮২২ জন আর বেসরকারি মাধ্যমে ২ হাজার ৬৭ জন হজের জন্য প্রাথমিক নিবন্ধন করেছেন।
হজের প্রাক নিবন্ধনের জন্য লাগবে ৩০ হাজার টাকা। আর, আগের প্রাক নিবন্ধিত কিংবা নতুন প্রাক-নিবন্ধিত যেকোনো ব্যক্তি তিন লাখ টাকা জমা দিয়ে প্রাথমিক নিবন্ধন করতে পারেন। হজ প্যাকেজ মূল্যের অবশিষ্ট টাকা প্যাকেজে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।
সমুদ্রপথে হজযাত্রা এবার নয়
হজের খরচ কমিয়ে আনতে সরকারের আরেক পরিকল্পনা হলো ফ্লাইটের বদলে জাহাজ দিয়ে হজ যাত্রী পাঠানো।
গত ৬ অক্টোবর ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হাসানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রীর সাথে জেদ্দায় গিয়ে এ বিষয়ে বৈঠকও করেন। পরে বাংলাদেশ থেকে দুই থেকে তিন হাজার হজযাত্রীকে পরীক্ষামূলকভাবে সমুদ্রপথে হজে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার কথা জানায় সৌদি কর্তৃপক্ষ।
এখন সৌদি সমুদ্রবন্দর কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে অনুমতি দিলেই যাত্রীরা সমুদ্রপথে হজে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।
ধর্ম মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে সৌদি সমুদ্রবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠিও পাঠিয়েছে। তবে জবাব এখনও আসেনি।
প্রতিনিধি দলে থাকা ধর্ম সচিব আ. হামিদ জমাদ্দার বলেন, “এখওন দুটো বাধা আছে। সৌদি পোর্ট অথরিটি থেকে আমরা এখনও অনুমতি পাই নাই। দ্বিতীয়ত, জাহাজ যেটা আমরা নিয়ে যাব, সেটাও জোগাড় করতে পারি নাই।
“আমাদের উপদেষ্টা সাহেব চেষ্টা করছেন। কিন্তু জাহাজের দাম অনেক, সব কিছু মিলিয়ে এবারে কঠিন হবে কিন্তু আগামী বছরের জন্য পথটা উন্মুক্ত করে যাব।”
সমুদ্র পথের রুট প্ল্যান নিয়ে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ থেকে সরাসরি সমুদ্রপথে শ্রীলঙ্কার কলম্বো হয়ে সৌদি আরবে যেতে সাত দিন লাগবে। আমরা খাবার-দাবার, ফুয়েল দিয়ে দেব।”
এতে আকাশপথের তুলনায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ খরচ কমবে বলে জানান তিনি।