মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভোটাররা তাদের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ভোট দেবেন আগামী ৫ নভেম্বর। এ নির্বাচনে প্রাথমিকভাবে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে লড়াই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জুলাইয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান জো বাইডেন এবং তার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে সমর্থন দেন।
এখন বড় প্রশ্ন হলো—যুক্তরাষ্ট্র কি প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট পাবে নাকি ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার সুযোগ পাবেন? এ বিষয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ক্রিস্টোফ ব্যারাউদ।
কয়েকটি মানদণ্ডের বিচারে বিশ্বের সবচেয়ে নির্ভুল অর্থনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত বারাউদ নির্বাচনে ‘রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প জয় পাবেন’ বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন। আর্থিক বাজার সংকেতের মানদণ্ডে আগামী ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন রিপাবলিকান পার্টি বড় ব্যবধানে জয় পাচ্ছে বলে মত দিয়েছেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দেয়া স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, বিভিন্ন সূচক যেমন বেটিং বাজার (বাজি), ভোট, নির্বাচনী মডেলারদের পূর্বাভাস, আর্থিক বাজার বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সম্ভাব্য ফলাফল হলো ট্রাম্পের বিজয়।
৫৪৬৫৪৬৯
প্রসঙ্গত,
গত ১২ বছরের মধ্যে ব্লুমবার্গের অর্থনৈতিক পূর্বাভাস র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে রয়েছেন বারাউদ। তিনি মার্কেট সিকিউরিটিজ মোনাকোর প্রধান অর্থনীতিবিদ এবং কৌশলবিদ।
বিজনেস ইনসাইডারে একটি সাক্ষাৎকারে বারাউদ পরামর্শ দিয়েছিলেন যে, কংগ্রেসে রিপাবলিকানদের নিয়ন্ত্রণ এবং ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সির ফলে ২০২৫ সালে ২ দশমিক ১ শতাংশ থেকে ২ দশমিক ৩ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে। তারপরও তিনি সতর্ক করেছিলেন যদি ট্রাম্পের অধীনে অন্যান্য রাজস্ব উৎস থেকে উল্লেখযোগ্য ট্যাক্স সমন্বয় করা না হয় তাহলে ক্রমবর্ধমান ফেডারেল ঘাটতিসহ সম্ভাব্য দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা হতে পারে।
নির্বাচনের ফলাফল ছাড়াও বারাউদ জানিয়েছেন, সামনের দিনগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ভালো হবে। তবে একটি বিভক্ত কংগ্রেসে ট্রাম্পের প্রস্তাবিত অভ্যন্তরীণ নীতিগুলোর অনেকগুলো স্থগিত হতে পারে বলেও সতর্ক করেন বারাউদ। শুল্কের দিকে বেশি জোর দিলে তা দীর্ঘমেয়াদী মার্কিন এবং বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মন্থর করতে পারে বলে মনে করেন এই বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ।
/এমএইচ