আসন্ন রোজায় নিত্যপণ্যের সরবরাহ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এরই অংশ হিসেবে চিনি, ছোলা ও সয়াবিন তেল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সার আমদানিরও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বুধবার সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘চারটি পণ্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এগুলোর আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। রোজার সময় ছোলা ও সয়াবিনের চাহিদা বেড়ে যাবে, সেই চিন্তা থেকেই সরকার আগেভাগে আমদানির অনুমতি দিয়েছে। চিনি, ছোলা ও সয়াবিন আমদানি করবে সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। শিগগিরই খেজুর আমদানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।’
সার্বিকভাবে আর্থিক দুরবস্থা থাকলেও সরকার কোনোভাবেই চায় না সাধারণ মানুষের কষ্ট হোক; সে জন্য এই সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেন সালেহউদ্দিন আহমেদ।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আজকের বৈঠকে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে পাঁচ হাজার মেট্রিক টন চিনি ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। প্রতি কেজি ১২০ টাকা ৯২ পয়সা দরে মোট ৬০ কোটি ৪৬ লাখ টাকায় এই চিনি কেনা হবে।
এ ছাড়া আন্তর্জাতিকভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ১০ হাজার মেট্রিক টন ছোলা ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে আজকের বৈঠকে। প্রতি কেজি ১০৭ টাকা ৩৯ পয়সা দরে মোট ১০১ কোটি ৯৯ লাখ ৪০ হাজার টাকায় এই ছোলা কেনা হবে।
স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ১৬৩ টাকা ১৫ পয়সা দরে ৩২ লাখ ৬০ হাজার লিটার সয়াবিন তেল ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। মোট ব্যয় হবে ৫৩ কোটি ১৮ লাখ ৬৫৯ হাজার টাকা।
মোট আটটি প্রস্তাব আজকের বৈঠকে উত্থাপিত হয়। অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের বাইরে সার ও এলএনজি কেনার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।
দেশে দুই বছরের বেশি সময়র ধরে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। সম্প্রতি বাজারে নিত্যপণ্যের দাম কমাতে সরকার বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি শুল্ক হ্রাস করেছে। সেই সঙ্গে বাজারে যেন ঘাটতি তৈরি না হয়, তা নিশ্চিত করতে চিনি, ছোলা ও সয়াবিন আমদানির সিদ্ধান্ত নিল।