আজ ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সময় : সকাল ১০:১৮

বার : সোমবার

ঋতু : গ্রীষ্মকাল

এক রাতের ব্যবধানে কাঁচাবাজারে পণ্যের দাম দ্বিগুণ

এক রাতের ব্যবধানে কাঁচাবাজারে পণ্যের দাম দ্বিগুণ

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রমজানকে ঘিরে অনেক পণ্যে মূল্যছাড় দেওয়া হয়, তবে ব্যতিক্রম বাংলাদেশে। দিনাজপুরের হিলিতে রমজান শুরুর একদিন আগেই বেগুন, শশা, কাঁচামরিচ ও লেবুসহ বেশ কিছু নিত্য পণ্যের দাম দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন নিন্ম আয়ের মানুষ। সংযমের মাস রমজানে পণ্যের দাম কমানোর দাবি জানিয়েছেন তারা।

শনিবার (২ এপ্রিল) সরেজমিন হিলির কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে সব দোকানেই পণ্যের যথেষ্ট সরবরাহ রয়েছে। তারপরেও এক রাতের ব্যবধানে পণ্যের দাম বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। একদিন আগেও যে বেগুন ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে, এখন তা বেড়ে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে শশা ২০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও, তা বেড়ে হয়েছে ৪০ টাকা। কাঁচামরিচ ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও এখন তার দর ৫০ টাকা। এছাড়া প্রতি হালি লেবু বিক্রি হতো ১৫-২০ টাকায়, এখন দাম ৩০ টাকা। তবে বাজারে অন্যান্য পণ্যের দাম আগের মতো রয়েছে।

ক্রেতা ইসরাফিল হোসেন  বলেন, আমি বাসায় নিয়মিত লেবু খাই। একদিন আগেও বাজার থেকে লেবু কিনলাম ১৫-২০ টাকা হালি দরে। আজ তা ৩০টাকায় নিতে হচ্ছে। একদিনের ব্যবধানে এমন কি হলো যে লেবুর দাম দ্বিগুণ হবে? এটা আর কিছুনা, অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা এর জন্য দায়ী।

 আরেক ক্রেতা মাহবুব হোসেন  বলেন, কয়েকদিন ধরেই বাজারে বেগুন, শশা ও কাঁচামরিচের দাম অনেকটা কম ছিল। তবে আগামীকাল রমজান শুরু হচ্ছে, এ কারণে দাম দ্বিগুণের বেশি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যে বেগুন ১৫-২০টাকা ছিল তা বেড়ে ৪০ হয়েছে টাকা। শশা ২০ টাকা থেকে বেড়ে ৪০ টাকায় ও কাঁচামরিচ ৩০ থেকে বেড়ে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রমজান শুরু না হতেই এভাবে পণ্যের দাম বাড়লে আমাদের মতো সাধারণ মানুষ টিকবে কীভাবে, প্রশন রাখেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যবসায়ী ইয়াসির আলী বলেন, আমি সারাবছরই লেবু বিক্রি করি। আমাদের বাজারে নাটোরসহ আশপাশের লেবুর বাগান থেকে লেবু আসে। একদিন আগেও ১৫-২০ টাকা দরে এক হালি বিক্রি করেছি। তবে আজ আমাদের বেশি দামে কিনতে হয়েছে। তাই বেশি দামেই তা বিক্রি করতে হচ্ছে।

আরেক সবজি বিক্রেতা ইনতাজ আলী বলেন, আমরা সাধারণত বিরামপুর ও পাশের পাঁচবিবি হাট থেকে সবজি কিনে বাজারে এনে বিক্রি করি। তবে রমজানে বেগুন, শশা ও কাঁচামরিচের বাড়তি চাহিদা থাকে, এ কারণে এগুলো এখন ঢাকায় যাচ্ছে। যে কারণে স্থানীয় বাজারে দাম বেড়েছে। আমরা বাড়তি দামে কিনে এনে বাড়তি দামে বিক্রি করছি। তবে দুই-একটি পণ্য ছাড়া অন্য পণ্যের দাম কম রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     More News Of This Category