বলিউডের অমর অভিনেতা ধর্মেন্দ্র ২৪ নভেম্বর সকালেই না ফেরার দেশে চলে গেছেন। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় গত মাসের শেষের দিকে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। চিকিৎসার পর সম্প্রতি মাত্র ১২ দিন আগে হাসপাতালে থেকে মুক্তি পেয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত জীবন রক্ষা হল না। তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে মুম্বাইয়ের জুহুর বাড়ির সামনে ভিড় জমে যায়, যেখানে পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার করা হয় এবং সাধারণ মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়।দর্শক ও শিল্পী মহলেও শোকের ছায়া নেমে আসে। সালমান খান, শাহরুখ খানসহ অনেক তারকা তার বাড়িতে হাজির হন। তবে ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না আসায় এক পর্যায়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। মুম্বাইয়ের ভিলে পার্লে শ্মশান ঘিরে পরিবার ও জনপ্রিয় তারকারা উপস্থিত থাকলেও পরিবার থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি না দেওয়ায় পরিস্থিতি রহস্যময় ছিল। ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, কয়েক দিন আগে বিভ্রান্তিকর খবর ছড়ানো থেকে বিরত থাকতে দেওল পরিবার এবার ধর্মেন্দ্রের মৃত্যুর বিষয়ে গোপনীয়তা বজায় রেখেছেন। ধর্মেন্দ্রের প্রয়াণে বলিউড পরিচালক করণ জোহর সামাজিক মাধ্যমে শোক প্রকাশ করেছেন এবং তাকে “একটি যুগের অবসান” ও “ভারতীয় সিনেমার প্রকৃত কিংবদন্তি” হিসেবে স্মরণ করেছেন। ধর্মেন্দ্র ছিলেন শুধু একজন তাবড় অভিনেতা নয়, বরং ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র, যাঁর কীর্তি ও উপস্থিতি সারা জীবনে দর্শক হৃদয়ে অমলিন হয়ে থাকবে।